প্লে-অফ পর্বের চার দল নিশ্চিত হয়েছে বেশ কয়েক দিন আগে। ম্যাচের হিসাবে লিগ পর্বের ৭ ম্যাচ বাকি থাকতে। আইপিএল ইতিহাসে এত আগে কখনোই প্লে-অফের চার দল নিশ্চিত হয়নি।

তবে আজ লিগ পর্ব শেষ হতে চললেও সমীকরণ ও হিসাব–নিকাশ এখনো শেষ হয়নি। শীর্ষে চারের কে কোন অবস্থানে থাকবে, কারা প্রথম কোয়ালিফায়ারে এবং কারা এলিমিনেটরে মুখোমুখি, সেটি নির্ধারিত হবে আজ রাতে পন্ত–পুরানদের লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে কোহলি–পতিদারদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ শেষে।

এরপরও আইপিএলে সমীকরণ শেষ হয়নি। প্লে-অফের লড়াই শেষ হওয়ার পর থেকেই কোয়ালিফায়ারের লড়াই শুরু হয়েছে। যে লড়াইয়ে কাল প্রথম দল হিসেবে পাঞ্জাব কিংস কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত করেছেন।

কাল রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে পাঞ্জাব কিংস। প্রীতি জিনতার পাঞ্জাবের প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলাও নিশ্চিত হয়েছে। সেই ম্যাচ তাদের প্রতিপক্ষ হবে শীর্ষ দুইয়ে থাকা আরেক দল। আম্বানি পরিবারের মুম্বাইয়ের এলিমিনেটরে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। এলিমিনেটরে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে, সেটিও জানা যাবে আজ।

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার এক ও দুই নম্বরে থাকা দল প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পায়। তিন ও চার নম্বরে থাকা দলকে খেলতে হয় এলিমিনেটরে।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে জেতা দল সরাসরি ফাইনালে উঠে যায়। আর হারা দল ফাইনালে ওঠার আরেকটি সুযোগ হিসেবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলে। সেই ম্যাচে তারা প্রতিপক্ষ হিসাবে পায় এলিমিনেটরে জয়ী দলকে। স্পষ্টতই কোয়ালিফায়ারে উঠতে পারলে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ, তাদের হাতে দুটি সুযোগ থাকে। অন্যদিকে এলিমিনেটরে থাকা দলকে ফাইনালে উঠতে হলে দুই ধাপ পেরিয়ে আসতে হয়।

আজ লক্ষ্ণৌকে হারাতে পারলেই শীর্ষ দুই নিশ্চিত হবে বেঙ্গালুরুর। তবে তালিকার এক নম্বরে উঠতে হলে পাঞ্জাব কিংসকে ০.

৩৭২ ব্যবধানে পেছনে ফেলতে হবে।

আজ হতে যাওয়া লক্ষ্ণৌ–বেঙ্গালুরু ম্যাচের ফলই নিশ্চিত করবে, কে পাঞ্জাবের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে খেলবে আর কে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এলিমিনেটেরে খেলবে।

লক্ষ্ণৌ অনেক আগেই প্লে–অফের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে। ঋষভ পন্তের দল এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকার সাতে আছে। আজ কোহলিদের বিপক্ষে জিততে পারলে ছয়ে থেকে এবং বড় ব্যবধানে হেরে গেলে আটে থেকে মৌসুম শেষ করবে।

আরও পড়ুনলাহোরে শিশির নেই, তবু কেন শিশিরে ভয় লিটনদের২ ঘণ্টা আগেআজ লক্ষ্ণৌ–বেঙ্গালুরু ম্যাচের ফল কী হলে কী হবে

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

পয়েন্ট: ১৭
নেট রান রেট: ‍+০.২৫৫
বাকি ম্যাচ: লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
এই ম্যাচে লক্ষ্ণৌকে হারাতে পারলেই শীর্ষ দুই নিশ্চিত হবে বেঙ্গালুরুর। তবে তালিকার এক নম্বরে উঠতে হলে পাঞ্জাব কিংসকে ০.৩৭২ ব্যবধানে পেছনে ফেলতে হবে। সে জন্য দরকার—২০০ রান করে ৩৪ রানে জয় অথবা ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১ বল বাকি রেখে জয়।

এই শর্ত পূরণ না হলেও জিতলেই তারা দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। তবে হারলে ১৭ পয়েন্টেই আটকে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে তারা তৃতীয় হয়ে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে এলিমিনেটরে খেলবে।

লক্ষ্ণৌ আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম ক য় ল ফ য় র ন শ চ ত হয় ল গ পর ব এল ম ন ট পর ব র লক ষ ণ ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিতে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জার্মানি ও ফিনল্যান্ডের

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যেন জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয়, সে জন্য দেশটির ওপর চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি ও ফিনল্যান্ড। মঙ্গলবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে এমন আহ্বান জানান জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস ও ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অর্পো।

বিগত সপ্তাহগুলোয় গাজা উপত্যকায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সেখানে ১১ সপ্তাহ ধরে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়নি ইসরায়েলি বাহিনী। সম্প্রতি গাজায় সীমিত পরিসরে ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হলেও তা ঠিকমতো হাতে পাচ্ছেন না ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের এই নৃশংসতার নিন্দা জানিয়ে আসছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মের্ৎসও।

হেলসিঙ্কিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মের্ৎসের পাশে ছিলেন পেত্তেরি অর্পোও। গাজায় অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, ‘ভুক্তভোগী মানুষের কাছে যেন সত্যিকার অর্থে ত্রাণ পৌঁছায় তা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে হবে।’

ফ্রিডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘গাজায় আমরা যা দেখেছি, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকাটির বেসামরিক লোকজনের ওপর ‘মাত্রাতিরিক্ত’ প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় হত্যাকাণ্ড ও মানুষের দুর্দশা বন্ধ করার আহ্বান জানান মের্ৎস।

গাজায় জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহের কথা বলেন অর্পোও। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই অবিলম্বে ত্রাণ প্রবেশ করতে দিতে হবে। আর ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে হবে। তবে এগুলো ফিলিস্তিনিদের হাতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে হামাস যেন বাধা না দিতে পারে, তা–ও নিশ্চিত করা লাগবে।’

এদিকে মঙ্গলবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে সুইডেন। গাজায় বাধাহীন ও দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ইসরায়েলকে বলেছে দেশটি। এক বিবৃতিতে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলের নিজেদের রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। তবে বর্তমানে যুদ্ধ যেভাবে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ