প্রীতির পাঞ্জাবকে হারিয়ে ৯ বছর পর ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু
Published: 29th, May 2025 GMT
মুল্লানপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুটি সমীকরণ ছিল আইপিএল সমর্থকদের সামনে। কে উঠবে ফাইনালে? ১১ বছর পর প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস নাকি ৯ বছর পর বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু?
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উত্তর মিলিয়ে দেওয়ার প্রথম কাজটা করেছে পাঞ্জাব। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে বেঙ্গালুরু।
১৪.
৬০ বল বাকি রেখে ৮ উইকেটের জয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠল বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ইতিহাসে ১০০–এর বেশি রানের লক্ষ্য টপকে যাওয়ার তৃতীয় দ্রুততম নজির এটি। এর আগে ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ সালে আইপিএলের ফাইনালে খেলেছে বেঙ্গালুরু। কিন্তু একবারও শিরোপা জিততে পারেনি।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, এবার বেঙ্গালুরুর শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ২০১১ সালে আইপিএলের প্লে–অফ পর্ব চালুর হওয়ার পর ১৪ আসরের মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ী দল ১১ বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ সাতবারই এমন ঘটনা ঘটেছে!
শ্রেয়াসের পাঞ্জাব ব্যাটিংয়ে মোটেও ভালো করতে পারেনি। বেঙ্গালুরুর দুই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন পাঞ্জাব অধিনায়কউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের পথেই রয়েছেন টিম কুক
অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলকে বেশ ভালোভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বর্তমানে প্রায় চার লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার শীর্ষ তিন প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে পরিচিত অ্যাপল নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও পিছিয়ে নেই।
টিম কুকের জন্ম ১৯৬০ সালের ১ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের মোবাইল শহরে। অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং ডিউক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করার পর তিনি প্রযুক্তিশিল্পে কর্মজীবন শুরু করেন। অ্যাপলে যোগদানের আগে তিনি আইবিএমের পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবসায় ১২ বছর কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে ইন্টেলিজেন্ট ইলেকট্রনিকস ও কম্প্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে স্টিভ জবসের আমন্ত্রণে অ্যাপলে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অব ওয়ার্ল্ডওয়াইড অপারেশনস পদে যোগ দেন টিম কুক। দ্রুতই অ্যাপলের সরবরাহ শৃঙ্খল ও উৎপাদনব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি অ্যাপলের কারখানা বন্ধ করে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি শুরু করেন তিনি। ফলে অ্যাপলের উৎপাদন খরচও কমে আসে। ২০০৫ সালে তিনি অ্যাপলের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে পদোন্নতি পান। স্টিভ জবসের অসুস্থতার সময় তিনি একাধিকবার অ্যাপলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টিম কুক।
জবসের মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ২০১১ সালের আগস্ট মাসে টিম কুক আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই স্টিভ জবসের উদ্ভাবনী জাদুকরের ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে এসে টিম কুক অ্যাপলকে দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
অ্যাপল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্যও আলোচিত টিম কুক। তাঁর নেতৃত্বেই অ্যাপল ওয়াচ ও এয়ারপডসের মতো সফল পণ্য বাজারে আসে এবং ইন্টেলের পরিবর্তে নিজস্ব চিপ এম১ প্রসেসর ব্যবহার শুরু করে অ্যাপল, যা অ্যাপলের অন্যতম সাহসী ও সফল কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হয়। বর্তমানে প্রযুক্তিশিল্পের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেলেও স্টিভ জবসের গড়ে তোলা আইফোন আর ম্যাকের মতো প্রযুক্তিপণ্যের উদ্ভাবনের ধারাকে অব্যাহত রেখেছেন টিম কুক।
সূত্র: অ্যাপল