নারীবিদ্বেষী পরিচালকের পক্ষ নিলেন রাশমিকা
Published: 31st, May 2025 GMT
পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার উত্থান তেলুগু ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’র মাধ্যমে। তারপর ‘কবীর সিংহ’ ও ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো ছবি করে ‘নারীবিদ্বেষী’ তকমা পেয়েছেন তিনি। কারণ, তাঁর ছবির পুরুষ চরিত্রেরা অতিরিক্ত রাগের বশে প্রেমিকার গায়ে হাত তোলে। সঙ্গে আছে ঘন ঘন চোখরাঙানো শাসানি। ঠিক একই রকমের পুরুষ বঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির মুখ্য চরিত্র রণবিজয়ও। উগ্র পৌরষের পালে এ ভাবেই হাওয়া দেন বঙ্গা- এমনটিই অভিযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে। এবার সেই পরিচালকের পক্ষ নিলেন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা।
আনন্দবাজার অনলাইনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ক’দিন ধরে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধ চলছে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার। যার সূচনা এই ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে দীপিকাকে বাদ দেওয়া নিয়ে। যখন সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত, ঠিক তখনই দীপিকা এমন কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, যা পরিচালক বঙ্গা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাই ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে নায়িকা হিসেবে তৃপ্তি ডিমরিকে বেছে নিয়েছেন।
এরপর থেকে সমাজমাধ্যমে কথার লড়াইয়ে নেমেছেন দীপিকা ও বঙ্গা; যাকে ঘিরে কেউ কেউ পক্ষ নিয়েছেন অভিনেত্রীর, কেউ আবার পরিচালকের। সম্প্রতি বলিউডে পা রেখে আলোচনায় আসা রাশমিকাও চলে গেছেন পরিচালকের পক্ষে। রাশমিকা কোনোভাবেই বঙ্গাকে নারীবিদ্বেষী বলতে নারাজ।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা স্যারের মধ্যে আমি যা দেখেছি তা হলো একজন নারীর প্রতি তাঁর পরম শ্রদ্ধা। তাই তাঁকে কোনোভাবেই নারীবিদ্বেষী বলতে চাই না। যারা এ কথা বলেন, তাদের সঙ্গে একমত নই আমি।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, ‘স্পিরিট’ সিনেমায় দীপিকা যেসব শর্ত দিয়েছিলেন, সেগুলো ছিল, দিনে আট ঘণ্টা শুটিং করবেন এবং ২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেবেন। এ ছাড়াও সিনেমার লভ্যাংশ দিতে হবে তাঁকে; যা নির্মাতা সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গ মেনে নেননি। যে কারণে সিনেমা থেকে দীপিকাকে বাদ পড়তে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দীপিকার নাম না করে তাঁকে ‘নারীবাদ’ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন বঙ্গা। এ বিষয়টি নজরে আসতেই ভারতের বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শিল্পী ও কুলাকুশলীরা দুই ভাবে ভাগ হয়ে পড়েছেন। কেউ কথা বলছেন শিল্পীর পক্ষে, কেউ আবার নির্মাতার বক্তব্যকে সমর্থন করছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঠিক কতটুকু ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে কাপড় হবে পরিষ্কার, অপচয়ও কমবে
ডিটারজেন্ট কতটুকু ব্যবহার করবেন
গড়পড়তা ২–৩ কেজি কাপড়ের জন্য ২ টেবিল চামচের বেশি ডিটারজেন্ট লাগে না।
ডিটারজেন্টের মাপার ক্যাপ কখনো পূর্ণ করবেন না। অধিকাংশ সময় এত কাপড় একসঙ্গে ধোওয়া হয় না।
একটি মাত্র পোশাক ভিজিয়ে রাখতে চাইলে প্রতি গ্যালন (৩ দশমিক ৭৮ লিটার)
পানিতে ১ চা–চামচ ডিটারজেন্ট যথেষ্ট।
অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহারের লক্ষণকাপড়ে ডিটারজেন্টের আস্তর লেগে থাকবে।
কাপড় শক্ত, খসখসে বা আঠালো হয়ে যাবে।
রঙিন কাপড় ম্লান ও সাদা কাপড় ধূসর হয়ে যাবে।
ওয়াশিং মেশিন থেকে দুর্গন্ধ আসবে।
আরও পড়ুনধোয়ার পর কাপড়ের ক্ষতি হবে না, যদি মেনে চলেন এসব উপায়১৪ অক্টোবর ২০২৪কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিটারজেন্টের পরিমাণকাপড়ের পরিমাণ ও ধরন: তোয়ালে, বিছানার চাদরের মতো ভারী কাপড়ের জন্য ডিটারজেন্ট একটু বেশি দরকার হয়।
কাপড় কতটা নোংরা: দাগযুক্ত কাপড়ে সামান্য বাড়তি ডিটারজেন্ট দিন।
পানির খরতা: খর পানিতে ডিটারজেন্ট বেশি লাগে, মৃদু পানিতে কম।
হাতে কাপড় ধোওয়ার সময়ছোট বালতি (৩–৮ লিটার পানি): ১ চা–চামচ
মাঝারি বালতি (৯–১৪ লিটার পানি): ২ চা–চামচ
বড় বালতি (১৫ লিটারের বেশি পানি): ১ টেবিল চামচ
কাপড় দেওয়ার আগে পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিন। তাতে অবশিষ্টাংশ কাপড়ে আটকে থাকবে না।আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩কাপড়ের ধরন অনুযায়ীসিল্ক ও পশমি কাপড়: ১/২–১ চা–চামচ (প্রতি ৩–৮ লিটার পানি)
সুতি ও সিনথেটিক কাপড়: ১ চা–চামচ (ময়লা বেশি হলে সামান্য বাড়ান)
খুব নোংরা কাপড়: আগে দাগ পরিষ্কার করে নিন, তারপর ১.৫ চা–চামচ পর্যন্ত ডিটারজেন্ট দিন।
দাগ দূর করার টিপসকোনো দাগ সহজে না উঠলে তার ওপর সরাসরি সামান্য ডিটারজেন্ট লাগিয়ে আলতো করে ঘষুন।
পরে পানিতে ভিজিয়ে নিন।
এতে পুরো বালতিতে অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট দিতে হবে না।
পর্যাপ্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার করছেন কি না বুঝবেন যেভাবেকাপড় ধোয়ার পর সাবানের আস্তর বা গন্ধ থাকবে না।
কাপড় হবে নরম ও আরামদায়ক।
লন্ড্রি পড ব্যবহার করলেছোট লোড: ১ পড
মাঝারি লোড: ২ পড
বড় লোড: ৩ পড
সূত্র: গুড হাউসকিপিং
আরও পড়ুনবডি স্প্রে নাকি পারফিউম—কখন, কোথায়, কোনটা ব্যবহার করবেন২ ঘণ্টা আগে