পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার উত্থান তেলুগু ছবি ‘অর্জুন রেড্ডি’র মাধ্যমে। তারপর ‘কবীর সিংহ’ ও ‘অ্যানিম্যাল’-এর মতো ছবি করে ‘নারীবিদ্বেষী’ তকমা পেয়েছেন তিনি। কারণ, তাঁর ছবির পুরুষ চরিত্রেরা অতিরিক্ত রাগের বশে প্রেমিকার গায়ে হাত তোলে। সঙ্গে আছে ঘন ঘন চোখরাঙানো শাসানি। ঠিক একই রকমের পুরুষ বঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির মুখ্য চরিত্র রণবিজয়ও। উগ্র পৌরষের পালে এ ভাবেই হাওয়া দেন বঙ্গা- এমনটিই অভিযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে। এবার সেই পরিচালকের পক্ষ নিলেন দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা।

আনন্দবাজার অনলাইনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ক’দিন ধরে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে তুমুল বাগ্যুদ্ধ চলছে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার। যার সূচনা এই ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে দীপিকাকে বাদ দেওয়া নিয়ে। যখন সিনেমায় অভিনয়ের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত, ঠিক তখনই দীপিকা এমন কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, যা পরিচালক বঙ্গা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাই ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে নায়িকা হিসেবে তৃপ্তি ডিমরিকে বেছে নিয়েছেন।

এরপর থেকে সমাজমাধ্যমে কথার লড়াইয়ে নেমেছেন দীপিকা ও বঙ্গা; যাকে ঘিরে কেউ কেউ পক্ষ নিয়েছেন অভিনেত্রীর, কেউ আবার পরিচালকের। সম্প্রতি বলিউডে পা রেখে আলোচনায় আসা রাশমিকাও চলে গেছেন পরিচালকের পক্ষে। রাশমিকা কোনোভাবেই বঙ্গাকে নারীবিদ্বেষী বলতে নারাজ।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা স্যারের মধ্যে আমি যা দেখেছি তা হলো একজন নারীর প্রতি তাঁর পরম শ্রদ্ধা। তাই তাঁকে কোনোভাবেই নারীবিদ্বেষী বলতে চাই না। যারা এ কথা বলেন, তাদের সঙ্গে একমত নই আমি।’  

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, ‘স্পিরিট’ সিনেমায় দীপিকা যেসব শর্ত দিয়েছিলেন, সেগুলো ছিল, দিনে আট ঘণ্টা শুটিং করবেন এবং ২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেবেন। এ ছাড়াও সিনেমার লভ্যাংশ দিতে হবে তাঁকে; যা নির্মাতা সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গ মেনে নেননি। যে কারণে সিনেমা থেকে দীপিকাকে বাদ পড়তে হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে দীপিকার নাম না করে তাঁকে ‘নারীবাদ’ নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন বঙ্গা। এ বিষয়টি নজরে আসতেই ভারতের বিভিন্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শিল্পী ও কুলাকুশলীরা দুই ভাবে ভাগ হয়ে পড়েছেন। কেউ কথা বলছেন শিল্পীর পক্ষে, কেউ আবার নির্মাতার বক্তব্যকে সমর্থন করছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ, বৃষ্টিতে ভোগান্তি 

ঈদের বাকি আর মাত্র ৪ দিন৷ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই গ্রামে যাচ্ছেন। গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে। তবে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বৃষ্টি বেশি হলে ও শিল্পকারখানা একসঙ্গে ছুটি হলে ঈদে তীব্র যানজটের শঙ্কা করছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। 

সোমবার (২ জুন) সকাল থেকেই গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হওয়ায় এবং ঈদে দীর্ঘ যানজট এড়াতে অনেকেই পরিবারের অন্য সদস্যদের আগে থেকে গ্রামে পাঠাচ্ছেন। আবার ঢাকায় ঢুকছে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি। ফলে বৃষ্টির কারণে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।  

গত ৪ দিনের বৃষ্টির কারণে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তাসহ আশপাশের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচল ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। এজন্য আশঙ্কা করা হচ্ছে বৃষ্টি না কমলে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি পোহাতে হবে ঘরমুখো মানুষদের। 

এদিকে, শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করছেন লাখ লাখ কর্মী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ কারখানা ছুটি হবে আগামী ৪ ও ৬ জুন৷ একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় সড়কে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে এবং যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। 

উত্তরবঙ্গের প্রবেশপথ খ্যাত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগরা, চান্দনা চৌরাস্তা ধরেই মূলত ঢাকা ও গাজীপুরের লোকজন বাড়ি 

সাত্তার নামে এক বাসচালক বলেন, “ এমন বৃষ্টি থাকলে এবারের ঈদে যানজট সৃষ্টি হবে৷ বৃষ্টি থাকলে খানাখন্দ হয় এবং গাড়িও ধীরে চালাতে হয়৷ আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসবে৷ না হলে সবারই সমস্যা হবে।” 

ডেনিম এশিয়ার শ্রমিক আলাউদ্দিন বলেন, “আমাদের কারখানা আগামী ৫ তারিখ ডিউটি করে ছুটি৷ ওই দিন আশপাশের সব কারখানা একসঙ্গে ছুটি দেবে৷ এজন্য পরিবারের সদস্যদের আজ গ্রামের বাড়ি নওগাঁ পাঠিয়ে দিলাম।” 

সালনা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকাতুল আলম বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে আমাদের সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। এবারও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করবে।” 

ঢাকা/রেজাউল/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ