ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন আরো বাড়িয়েছে
Published: 31st, May 2025 GMT
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইরান অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন আরো বাড়িয়েছে। শনিবার একটি গোপন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির দেখা একটি গোপন প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের কাছে এখন ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতা পর্যন্ত ৪০০ কেজিরও বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে। এই ইউরেনিয়াম বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত স্তরের চেয়ে অনেক বেশি এবং অস্ত্রের স্তরের কাছাকাছি। গত তিন মাসের মধ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, আরো পরিশোধিত হলে এগুলো প্রায় ১০টি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য যথেষ্ট। তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান পারমাণবিক আলোচনার সময় গত তিন মাসে ইরান প্রতি মাসে প্রায় একটি পারমাণবিক অস্ত্রের সমান হারে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, “ইরানের মাধ্যমে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন এবং সঞ্চয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি.
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মনে করে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, “যদি বিষয়টি পারমাণবিক অস্ত্রের হয়, তবে হ্যাঁ, আমরাও এই ধরণের অস্ত্রকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি। আমরা এই বিষয়ে তাদের সাথে একমত।”
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট
গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে যে ‘মব’ সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চলছে এবং নগ্ন রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জোটের নেতারা বলেছেন, মব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাব এমন যে খারাপ কিছু তো করছে না।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন। মব সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে মব শুরু হয়েছিল, সেই মব এখনো দূর হয়নি। বরং নগ্ন রূপ নিয়েছে।...তাহলে ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) তখন কী করলেন?’
সরকার না চাইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, মব নিয়ে সরকারের উপদেষ্টারা আকারে-ইঙ্গিতে যা বলেন, তাতে ভাবটা এ রকম যে খারাপ কিছু করছে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না।
দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংস্কারের নামে শ্রমিক–কৃষক–মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছেন না, কিন্তু সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন করতে চান। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে