দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় জালাল উদ্দীন (৬০) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দামোদরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জালাল উদ্দীন ঘোড়াঘাট উপজেলার এক নম্বর বুলাকিপুর ইউনিয়নের দামোদরপুর শৌলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের উপজেলার বুলাকিপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছর ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে ঘোড়াঘাট পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে চারমাথা পাকা রাস্তা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। এ সময় সেলিম আখতার, মুরাদ হোসেন, আসাদুজ্জামান শিমুল, শেখ বদিউজ্জামান, শফিউল ইসলাম, বেলাল হোসেনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছুরি, রামদা ও পেট্রলবোমা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পথ রোধ করেন। আসামি আসাদুজ্জামান শিমুল তাঁর হাতে থাকা পেট্রলবোমা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নিক্ষেপ করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা আহত হন। এ সময় বাকি আসামিরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারধর করেন। আসামিরা মামলার বাদী সহিদ শেখ ও তাঁর সঙ্গে থাকা মো.

রাফিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আসামিরা ঘোড়াঘাট বাসস্ট্যান্ডে দিনাজপুর-গোবিন্দগগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আসামিরা সেখানে মাসুদ রানার মোটরসাইকেল গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে গ্যারেজে থাকা প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা মূল্যমানের দুটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৪ আগস্ট ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য সহিদ শেখ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জালাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রোববার সকালে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আস ম র উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়াঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় জালাল উদ্দীন (৬০) নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দামোদরপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জালাল উদ্দীন ঘোড়াঘাট উপজেলার এক নম্বর বুলাকিপুর ইউনিয়নের দামোদরপুর শৌলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের উপজেলার বুলাকিপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছর ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে ঘোড়াঘাট পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে চারমাথা পাকা রাস্তা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। এ সময় সেলিম আখতার, মুরাদ হোসেন, আসাদুজ্জামান শিমুল, শেখ বদিউজ্জামান, শফিউল ইসলাম, বেলাল হোসেনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছুরি, রামদা ও পেট্রলবোমা নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পথ রোধ করেন। আসামি আসাদুজ্জামান শিমুল তাঁর হাতে থাকা পেট্রলবোমা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নিক্ষেপ করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা আহত হন। এ সময় বাকি আসামিরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারধর করেন। আসামিরা মামলার বাদী সহিদ শেখ ও তাঁর সঙ্গে থাকা মো. রাফিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আসামিরা ঘোড়াঘাট বাসস্ট্যান্ডে দিনাজপুর-গোবিন্দগগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করেন। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। আসামিরা সেখানে মাসুদ রানার মোটরসাইকেল গ্যারেজে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে গ্যারেজে থাকা প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা মূল্যমানের দুটি মোটরসাইকেল পুড়ে যায়।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৪ আগস্ট ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য সহিদ শেখ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে জালাল উদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে রোববার সকালে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ