৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে বিএসইসির স্পষ্টকরণ
Published: 1st, June 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির ও উদ্যোক্তা-পরিচালকদের যৌথভাবে ৩০ শতাংশে শেয়ার ধারণের ব্যর্থ কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রচারিত সংবাদে অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি পরিলক্ষিত হওয়ায় সিদ্ধান্তটি বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট করল বিএসইসি।
রবিবার (১ জুন) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৫৭তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিসমূহ এবং যেসকল কোম্পানিতে স্পন্সর ও ডিরেক্টরদের যৌথভাবে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার হোল্ডিং বিদ্যমান সেসকল কোম্পানি ‘কর্পোরেট গভার্নেন্স কোড, ২০১৮’ পরিপালন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়’ মর্মে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে উক্ত বিষয়টিতে প্রচারিত সংবাদে অস্পষ্টতা বা বিভ্রান্তি পরিলক্ষিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানে সপ্তাহ শুরু
৪.
এতে আরো বলা হয়, এ প্রেক্ষিতে কমিশনের সিদ্ধান্তটির হলো- পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিসমূহ এবং যেসকল কোম্পানিতে স্পন্সর ও ডিরেক্টরদের যৌথভাবে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার হোল্ডিং বিদ্যমান, সেই কোম্পানির নমিনেশন ও রেমুনারেশন কমিটি স্বতন্ত্র পরিচালকের ফিট অ্যান্ড প্রপার ক্রাইটেরিয়া বিবেচনায় নিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের জন্য কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরস বরাবর সুপারিশ পেশ করবে। কোম্পানি সংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের (বিএসইসি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক) সম্মতির জন্য পাঠাবে। কর্তৃপক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টরসই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ করবে। পরবর্তীতে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের অনুমোদন নিতে হবে।
ঢাকা/এনটি/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
আরো পড়ুন:
সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি।
এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/এনটি/বকুল