আমাকে নতুন নতুন
আমাকে নতুন নতুন কবিতা লিখতে হবে।
সেসব কবিতা কোনো মনুমেন্ট পাহারা দেওয়ার কথা বলবে না,
খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকার কথা,
দৌড়ানোর কথা বলবে।
কোনো আগ্নেয়গিরির কথা বলবে।
দূর মাঠ থেকে ভেসে আসা গরুর হাম্বা ডাক থাকবে।
পুকুর থেকে উঠে আসা হাঁসের ডাক থাকবে।
খালের ওপর বাঁশের সাঁকো থাকবে।
গন্ধ থাকবে ন্যাপথালিনমাখা দুঃখের।
চাঁপা ফুলহলুদ শাড়ি পরা চাঁপা ফুল।
চাঁপা ফুলের আঁচল কাঁপছে খোলা হাওয়ায়।
চাঁপা ফুল খুব চাপা স্বভাবের ফুল।
চাঁপা ফুল চিরকালের ইনট্রোভার্ট।
চুপচাপ, ঠান্ডা, কুল।
আমি চাঁপা ফুলের গন্ধ নিই,
চাঁপা ফুলও নেয় আমার গন্ধ।
সময়ের মায়া নেইসময়ের মায়া নেই, মমতা নেই। সময় নৃশংস বর্বর হয়ে উঠেছে।
এখানের মাটিতে বাতাসে গাছে আকাশে রাশি রাশি মৃত্যুবিষ।
মৃত্যু বাদুড়ের মতন ঝুলে থাকে গাছে গাছে।
এই যে চারপাশে গাছ—
এরা কী সাংঘাতিক, কী বিশ্বাসঘাতক!
একেকটা গাছ থেকে মৃত্যু ঝুপ ঝুপ করে লাফিয়ে পড়ে মাটিতে।
পাতায় পাতায় প্রাণপতনের শব্দ।
মৃত্যু পড়ে গেল নির্দয় নিয়তির পরিহাসে।
ঘাসে, বাতাসে অপরিমিত মৃত্যু ভাসে।
আমাকে তো কোথাও যেতে হবে।
হায়, নিরাশ্রয় সময়।
চুমু ও চালকুমড়াসেদিন বাজারে যাচ্ছি, বউ এসে বলল,
তোমার চোখে চালকুমড়া পড়েনা?
হায় চালকুমড়া!
এক সময় আমার বউ আমার কাছে চুমু চাইতো,
আর এখন চায় চালকুমড়া।
চালকুমড়া খাওয়া এই সংসার
নন্দনকানন হয়ে উঠতে পারল না।
চিন্তাআমি অনেক ভেবেচিন্তে বলেছি। তৃণের চেয়ে চিন্তার সংখ্যা বেশি।
কথাটা মগজের মধ্যে চরে বেড়িয়েছে দিনভর।
চিন্তা যায় না। চিন্তার যেন শেষ নেই। চিন্তা আনলিমিটেড।
চিন্তার ছায়া পড়ে মুখের ওপরেও। কপালে ভাঁজ পড়ে চিন্তার।
চিন্তা বড় বড় পাখনা মেলে আমার মনে হাওয়া তুলছে।
সামুদ্রিক ফেনার মতো চিন্তা মস্তিষ্কজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী