চট্টগ্রামে কেএনএফের ইউনিফর্ম উদ্ধারের মামলায় কারখানা মালিক রিমান্ডে
Published: 1st, June 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরে কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দের ঘটনায় গ্রেপ্তার একটি কারখানার মালিক মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম খলিলের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মতিউর রহমান নগরের পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস কারখানার মালিক।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার কারখানা মালিক মতিউরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পাহাড়তলী থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল।
গত ২৭ মে রাতে পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, জব্দ করা পোশাকগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম। মহালাসিন মারমা নামের এক সন্ত্রাসী ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরি করতে দিয়েছিলেন। এর আগে ২৬ মে রাতে নগরের অক্সিজেন নয়ারহাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি ইউনিফর্ম উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ১৭ মে রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০টি সন্দেহজনক পোশাক জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ঘটনায় করা মামলার এজাহারে পুলিশ বলেছে, দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলোর অর্ডার নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পোশাক কারখানাটির মালিক সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্য দুজন পোশাকগুলো তৈরির অর্ডার এনেছিলেন।
কেএনএফ বান্দরবানের রুমা ও থানছি উপজেলায় সক্রিয়। তাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক এনএফ ইউন ফর ম প হ ড়তল ক এনএফ ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘কেএনএফের ইউনিফর্ম’ জব্দের মামলায় কারখানা মালিকের রিমান্ড
চট্টগ্রাম নগরে সন্দেহজনক পোশাক (ইউনিফর্ম) জব্দের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক কারখানার মালিকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাঁর নাম মতিউর রহমান। তিনি নগরের পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস নামের কারখানার মালিক। আজ রোববার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইব্রাহিম খলিল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ওই কারখানা মালিকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, কারখানা মালিক মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাহাড়তলী থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষ আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গত ২৭ মে রাতে পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডের একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে পুলিশ। এই ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাহাড়তলী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, জব্দ করা পোশাকগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম। মহালাসিন মারমা নামের এক ‘সন্ত্রাসী’ ৫০ লাখ টাকার চুক্তিতে পোশাকগুলো তৈরি করতে দিয়েছিলেন।
এর আগে ২৬ মে রাতে নগরের অক্সিজেন নয়াহাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি ইউনিফর্ম উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ১৭ মে রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস থেকে ২০ হাজার ৩০০টি সন্দেহজনক পোশাক জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ওই ঘটনায় করা মামলার এজাহারে পুলিশ বলেছে, দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো প্রস্তুতের ফরমাশ নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পোশাক কারখানাটির মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন সাহেদুল ইসলাম, গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার। পুলিশ জানিয়েছে, সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্য দুজন পোশাকগুলো তৈরির ফরমাশ এনেছিলেন।
ফেসবুকে পেজ খুলে দু-তিন বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। পাহাড়ের দুই জেলার ৯টি উপজেলা নিয়ে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণাও দেয় তারা। সংগঠনটির বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি ও হত্যার অভিযোগ উঠতে থাকে শুরু থেকেই। একপর্যায়ে কেএনএফের বিরুদ্ধে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের সশস্ত্র সংঘাত হয় কয়েকবার। পাহাড়ের দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতিও করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। বান্দরবানের দুই উপজেলায় ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতির ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।