ইউপি ভবনে তালা দিলেন জামায়াতের নেতাকর্মী
Published: 1st, June 2025 GMT
যশোরের মনিরামপুরের চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দে দলীয় লোকদের প্রাধান্য দেওয়া ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে এ ঘটনা ঘটায় জামায়াত নেতাকর্মীরা।
দুপুর আড়াইটার দিকে নেঙ্গুড়াহাট বাজার থেকে জামায়াতের কয়েকশ নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে পরিষদে যান। এ সময় তারা চেয়ারম্যান ও সচিবের কক্ষসহ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল হামিদ সরদার এবং ইউপি সচিব বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন না।
চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিল্লাল হোসেন জানান, গত বছর আওয়ামী সরকারের পতনের পর সরকারি বরাদ্দ বণ্টনের বিষয়ে ইউএনওর মধ্যস্থতায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জামায়াতের নেতাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। এসব সরকারি বরাদ্দের মধ্যে রয়েছে ভিজিএফ, ভিজিডি, টিসিবি, খাদ্যবান্ধব, ওএমএস, টিআর, কাবিখা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও বয়স্ক ভাতা।
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ সরদারের ভাষ্য, ইউনিয়নে আসা সব সরকারি বরাদ্দের শতকরা ২৫ ভাগ স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। পরিষদে তালা মারার বিষয়টি ইউপি সচিবের মাধ্যমে ইউএনকে জানানো হয়েছে।
ইউপি ভবনে তালা মারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি আবদুল মান্নান। তারা অভিযোগ করেন, সরকারি সব বরাদ্দে তাদের ২৫ ভাগ দেওয়ার সমঝোতা হলেও চেয়ারম্যান তা মানছেন না। তিনি সব বরাদ্দই তাঁর দলীয় আস্থাভাজনদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ত কর ম বর দ দ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সফরের পর নিউ জিল্যান্ড কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চার ক্রিকেটার
নিউ জিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আরো একবার নিজেকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। দেশের বাইরে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উইলিয়ামসন।
শুধু তিনিই নন, ডেভন কনওয়ে, লোকি ফার্গুসন, ফিন অ্যালেন, টিম সেইফার্ট ও টিম সাউদিও নেই কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। টিম সাউদি বাদে বাকিরা প্রত্যেকেই এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত।
তাদের অনুপস্থিতি ও ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া চার কিউই ক্রিকেটার। সম্প্রতি দুটি চারদিনের ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দল। সেই দলের চার ক্রিকেটার- মোহাম্মদ আব্বাস, জ্যাক ফোলকস, মিচ হে এবং আদী অশোক প্রথবারের মতো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা করে নিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের থেকে বড় প্রত্যাশা করছে নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট। লম্বা সময় ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন, জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।
সবশেষ চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার ইশ শোধী, বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল এবং অলরাউন্ডার জশ ক্লার্কসন। অবসর নিয়েছেন টিম সাউদি।
উইলিয়ামসন ক্যারিয়ারের শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছেন। গত বছর কিউইদের হয়ে ১৩ টেস্টের নয়টিতে খেলেছিলেন তিনি। রান করেছিলেন হাজারেরও বেশি। জুলাইয়ের শেষ দিকে জিম্বাবুয়েতে দুটি টেস্ট ম্যাচ আছে নিউ জিল্যান্ডের, যেটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। এই সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে না।
এরপর ডিসেম্বরের শেষ দিকে কেবল তিনটি টেস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ঘরের মাঠে সেই সিরিজটি হয়তো খেলতে পারেন নিউ জিল্যান্ডের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।
নিউ জিল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার: মোহাম্মদ আব্বাস, মিচ হে, আদী অশোক, টম ব্লান্ডেল, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চ্যাপম্যান, জ্যাকব ডাফি, জ্যাকারি ফোকস, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিনসন, টম ল্যাথাম, ড্যারেল মিচেল, হেনরি নিকোলস, উইল ও’রোক, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রাভিন্দ্রা, মিচেল স্যান্টনার, বেন সিয়ার্স, ন্যাখান স্মিথ ও উইল ইয়াং।
ঢাকা/ইয়াসিন