সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তিনটি স’ মিলে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স। অভিযানে প্রায় ৩২ লাখ টাকার কাঠ জব্দ করা হয়েছে এ সময় মিল মালিকদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গতকাল রোববার বেলা ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। মিলগুলো হলো- কলারোয়ার সীমান্তবর্তী বালিয়াডাঙ্গা বাজারের মেসার্স সুলতান স’ মিল, আইসপাড়ার মেসার্স মহসীন আলি স’ মিল ও লোহাকুড়ার মেসার্স তুহিন স’ মিল।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও বন বিভাগের কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন। বন বিভাগের অনুমোদন ছাড়া স’ মিলে পরিবেশ ধ্বংসকারী গাছ ও কাঠ চেরাই করা হচ্ছে- এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এটি জানা গেছে।

অভিযান পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.

পলাশ আহমেদ। এ সময় বিজিবির পক্ষে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক বেগ আব্দুল্লাহ আল মাসুমসহ ১৫ বিজিবি সদস্য, উপজেলা বন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামসহ ৩ জন ও ৫ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়নের (৩৩ বিজিবি) অধিনায়ক  লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

সন্দ্বীপে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মো. শিপন (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ আনি গোপাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিপন মগধরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর তহসিলদার বাড়ির আনসারুল হকের ছেলে।

শিপনের চাচাতো ভাই মো. মিন্টু বলেন, শিপন কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় শিবেরহাটে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাঁচ আনি সড়কে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে শিপনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তার রক্তে পুরো রাস্তা ভেসে গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য ও সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিপন মগধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল আলম সমীরের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলচালক ছিলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। 

সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অপু চক্রবর্তী বলেন, শিপনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় তার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বাম হাতও প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। এছাড়া গভীর ক্ষত ছিল মুখে ও মাথায়।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, শিপনের হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ