রংপুরে শহরের সেন পাড়ায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন স্কাইভিউয়ে হামলার দুই দিন পর জাপা ও এনসিপির দায়ের করা পাল্টাপাল্টি মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ।

রবিবার (১ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় এ দুটি মামলা নেওয়া হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে জাপা এবং শনিবার রাতে এনসিপির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত এজাহার জমা দেওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে মামলা নেওয়া হয়নি।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান মামলা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, এ মামলা দুটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা বাড়ির জানালার কাচ ভাঙচুর করে ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় জি এম কাদের বাসায় অবস্থান করছিলেন।

জাপা অভিযোগ করেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির কর্মীরা এ হামলায় জড়িত। তবে, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতারা পাল্টা অভিযোগ করেছেন যে, জি এম কাদেরের রংপুর আগমনকে ঘিরে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে জাপার লোকজন হামলা চালিয়েছে।

জাপার দায়ের করা মামলার বাদী জাতীয় ছাত্র সমাজের নেতা আরিফ। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরো ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়ের করা মামলার বাদী দলটির রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। এতে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরো ৮০-৯০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই রংপুরে জাপা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। রবিবার রাত ৯টার দিকে রংপুর শহরের স্টেডিয়ামের অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে দুই দলের নেতাদের বৈঠক করেন ৭২ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম।

এ সময় ঘটনায় জড়িত দুই দলের অভিযুক্ত চার জন হাজির হন। জাপা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে কর্মীদের হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপির মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগরের সমন্বয়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন না ঘটানোর অঙ্গীকার করেন দুই দলের স্থানীয় নেতারা। সেনা কর্মকর্তা রংপুরকে শান্তিপূর্ণ রাখতে মব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথাও জানান সেই বৈঠকে।

সেনাবাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও জাপার বাসভবনে হামলাকে কেন্দ্র করে এখনো রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঢাকা/আমিরুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এম ক দ র এনস প র

এছাড়াও পড়ুন:

অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুলকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন সজল ও সাহেদ

\নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য অসুস্থ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বার ওয়ার্ডের মিজমিজি বাতেন পাড়াস্থ অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুল ইসলামের বাসভবনে যান মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ। এসময়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং তার ও শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করেন।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক বন ও পরিবেশ সম্পাদক মো. ওসমান গনি, নাসিক ৭ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. সোহেল, ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম ভুট্টু, ৭নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. রুবেল, ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. জাহিদ, ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. রুবেল, নাসিক ১নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. হাসান, মো. সাগর হোসেনসহ যুবদলের নেতৃবৃন্দ।##

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেটবাসীর গণঅবস্থান
  • অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুলকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন সজল ও সাহেদ