চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় করা এক মামলায় আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ওই ব্যক্তির নাম শেখ তাইসুখ ইসলাম (২৮)। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মামুন আহমেদ (১৮) নামের এক হোটেল কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।

দর্শনা-জয়নগর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ বলেন, আজ সকালে তাইসুখ ইসলাম নামের বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ওই যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে যান। তাঁর পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা আছে। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আপাতত দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, বিষয়টি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানাকে অবহিত করা হয়েছে। তাঁকে সেখানে নিতে কুমিল্লা থেকে পুলিশের একটি দল দর্শনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনাটির ১০ মাস পর ২৭ মে তাঁর ভাই রানু মিয়া বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এবং তাঁর মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহারসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। শেখ তাইসুখ ইসলাম এই মামলার ৯৭ নম্বর আসামি। মামলায় তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও অস্ত্রধারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সরকারি গেজেটে শহীদ তালিকায় মামুন আহমেদের নাম আসায় পরিবারের পক্ষে তাঁর ভাই রানু মিয়া মামলাটি করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে যাওয়ার সময় আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি ইমিগ্রেশনে গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় করা এক মামলায় আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ওই ব্যক্তির নাম শেখ তাইসুখ ইসলাম (২৮)। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মামুন আহমেদ (১৮) নামের এক হোটেল কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।

দর্শনা-জয়নগর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ বলেন, আজ সকালে তাইসুখ ইসলাম নামের বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ওই যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে যান। তাঁর পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা আছে। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আপাতত দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, বিষয়টি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানাকে অবহিত করা হয়েছে। তাঁকে সেখানে নিতে কুমিল্লা থেকে পুলিশের একটি দল দর্শনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনাটির ১০ মাস পর ২৭ মে তাঁর ভাই রানু মিয়া বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এবং তাঁর মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহারসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। শেখ তাইসুখ ইসলাম এই মামলার ৯৭ নম্বর আসামি। মামলায় তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও অস্ত্রধারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সরকারি গেজেটে শহীদ তালিকায় মামুন আহমেদের নাম আসায় পরিবারের পক্ষে তাঁর ভাই রানু মিয়া মামলাটি করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয়নগরে লিচুর ভালো ফলন, বাগানে ঘুরে পছন্দ করে কিনছেন ক্রেতারা