ভারতে যাওয়ার সময় আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি ইমিগ্রেশনে গ্রেপ্তার
Published: 2nd, June 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় করা এক মামলায় আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাঁকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম শেখ তাইসুখ ইসলাম (২৮)। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মামুন আহমেদ (১৮) নামের এক হোটেল কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিনি এজাহারভুক্ত আসামি।
দর্শনা-জয়নগর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তারেক মাহমুদ বলেন, আজ সকালে তাইসুখ ইসলাম নামের বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ওই যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে যান। তাঁর পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাইকালে দেখা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা আছে। এরপর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আপাতত দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, বিষয়টি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানাকে অবহিত করা হয়েছে। তাঁকে সেখানে নিতে কুমিল্লা থেকে পুলিশের একটি দল দর্শনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ আগস্ট কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলার সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ঘটনাটির ১০ মাস পর ২৭ মে তাঁর ভাই রানু মিয়া বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এবং তাঁর মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহারসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। শেখ তাইসুখ ইসলাম এই মামলার ৯৭ নম্বর আসামি। মামলায় তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও অস্ত্রধারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সরকারি গেজেটে শহীদ তালিকায় মামুন আহমেদের নাম আসায় পরিবারের পক্ষে তাঁর ভাই রানু মিয়া মামলাটি করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।
গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।
সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।
ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।