ঘোষিত বাজেটে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কর ব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ যেমন আছে, তেমনি কিছু বৈষম্যমূলক  সিদ্ধান্তও চোখে পড়ে।
প্রথমেই প্রাতিষ্ঠানিক কর কাঠামোর কথা বলি। বাজেটে প্রস্তাব এসেছে– যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ৭.

৫ শতাংশ কর আরোপ করা হবে। আমার দৃষ্টিতে এটি একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। কারণ এতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারাবে নতুন কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে বর্তমান তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ওপর আর্থিক চাপ আরও বাড়বে, যা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক নয়।
আরেকটি বিষয় হলো, ‘ক্যাশলেস কোম্পানি’–  অর্থাৎ যারা মূলত নগদ লেনদেন পরিহার করে চলছে, তাদের করহার ২৭.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ সরকারই তো ক্যাশলেস অর্থনীতিকে উৎসাহিত করছে। এই উচ্চ করহার সে উদ্যোগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি অংশীদারি ব্যবসার ক্ষেত্রেও স্তরভিত্তিক করহার বাতিল করে একইভাবে ২৭.৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে, যা ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। দীর্ঘদিন মন্দার মধ্যে থাকা মার্চেন্ট ব্যাংক খাতের জন্য করহার ১০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা সময়োপযোগী ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। 
খাতভিত্তিক পরিবর্তনের মধ্যে নির্মাণ খাতে টিডিএস হার ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তির হবে। আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়ের কর আরোপ, যদিও তাৎক্ষণিকভাবে শিল্প খাতের জন্য চাপ সৃষ্টি করবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে রিফান্ড দাবির পরিমাণ কমে আসতে পারে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে টিডিএস ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির বার্তা।
লেখক: পরিচালক, এসএমএসি 
অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য করহ র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ