বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে প্রস্তাবিত বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ। গতকাল সোমবার প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম করের সমন্বয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজনের আওতা বাড়ানো, করজাল সম্প্রসারণ এবং অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর মতো ইতিবাচক পদক্ষেপ আছে। কিন্তু বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সহজে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে এটি সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ততটা সহায়ক নয়। ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমলেও স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোয় এ শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হবে। অটোমোবাইল খাতে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় এ খাতের স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এ ছাড়া টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিচেনার দাবি জানান তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন ১০ হাজার উদ্যোক্তা
দেশে তিন বছরের মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের বিকাশে ১৫ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ প্রতিষ্ঠা, নারী উদ্যোক্তাসহ প্রান্তিক পর্যায়ের সিএমএসএমই খাতের ১০ হাজার উদ্যোক্তাকে ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে।’ অর্থাৎ নতুন অর্থবছরে ১০ হাজার উদ্যোক্তা ১০ লাখ টাকা করে ঋণ পাবেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এই বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, ২৫ হাজার উদ্যোক্তাকে দক্ষতামূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, বিভাগীয় শহরে এসএমই প্রোডাক্ট ডিসপ্লে ও সেলস সেন্টার বা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং জেলা শহরে আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করা হবে। নারী উদ্যেক্তাদের প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৩ হাজার নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে করপোরেট ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ খাতের অবদান নিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান ছিল প্রায় ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সম্ভাবনাময় এ খাতের বিকাশে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া বাণিজ্যিক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লজিস্টিকস খাতের উন্নয়নসহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।