প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় ফিসফাস চললেও তা স্বীকার করেননি তারকা জুটি দর্শনা বণিক ও সৌরভ দাস। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই দম্পতি। তাদের বিয়ের বয়স ১ বছর ৯ মাস। তবে এখনো এ জুটির সংসার আলো করে কোনো সন্তান আসেনি। একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন দর্শনা।
সঞ্চালক জানতে চান, মা হতে চান কি না? জবাবে দর্শনা বণিক বলেন, “একদম। বিয়ে করেছি, আমি আর সৌরভ বাচ্চা খুব ভালোবাসি। আমাদের এটা তো অবশ্যই পরিকল্পনা আছে, নিজেদের একটা পরিবারের।”
বাচ্চা হলে টলিউডে কাজ হারাতে পারেন, এমন ভয় পান? জবাবে দর্শনা বণিক বলেন, “এমনি তো মেয়েদের খুব সহজেই সরিয়ে দেয়। আচ্ছা এই অভিনেত্রী বিয়ে করছে, সরিয়ে দাও। আচ্ছা বাচ্চা হচ্ছে, সরিয়ে দাও। আমাদের এখানে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত কিন্তু অনেক আগেই এটা ভেঙে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে শুভশ্রী গাঙ্গুলি, তার দুটো বাচ্চা আছে। যেভাবে সব কিছু ম্যানেজ করছে। বম্বে যাচ্ছে বিজ্ঞাপন করছে, এখানে শো করছে, ওখানে মুভি করছে, প্রোডাকশন সমালাচ্ছে। আমার মনে হয়, ডাক্তার অনুমতি দিলে আর মেয়েরা নিজেরা চাইলে, মেয়েরা সব পারে।”
আরো পড়ুন:
শাকিবের নায়িকা ইধিকার ‘বহুরূপ’
বাবা-মা হলেন পরমব্রত-পিয়া
২০২২ সালের শুরুর দিকে জোর গুঞ্জন চাউর হয়, অভিনেত্রী দর্শনা বণিক চুটিয়ে প্রেম করছেন; তা-ও সহশিল্পী সৌরভ দাসের সঙ্গে। একসঙ্গে নানা জায়গায় যাচ্ছেন তারা, সৌরভের বাড়ির সামনে পার্ক করা থাকছে দর্শনার গাড়ি। যদিও এই গুঞ্জন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন এই যুগল। যদিও সর্বশেষ গুঞ্জনকে সত্যিতে রূপ দেন প্রেমিক যুগল।
‘অল্প হলেও সত্যি’সহ একাধিক সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন সৌরভ-দর্শনা। সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্ব; যা পরে প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়।
অর্ঘদীপ চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘জোজো’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে দর্শনার হাতেখড়ি। তারপরই অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘আসছে আবার শবর’-এ দেখা যায় তাকে। বাংলার পাশাপাশি, তেলুগু সিনেমাও কাজ করেছেন দর্শনা। ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা। চলুন, বিশেষ এই দিনে শাহরুখ খানের অজানা সাতটি তথ্য জেনে নিই—
এক. ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। কিন্তু সিনেমাটিতে শাহরুখ খানের চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তারকা পুত্র আরমান কোহলির। অভিজ্ঞ পরিচালক রাজ কুমার কোহলির রাগী ছেলে আরমান সিনেমাটির একটি শিডিউল শেষ করে পরিচালক রাজ কানওয়ারের সঙ্গে ঝগড়া করে সেট ছেড়ে চলে যান। প্রযোজকরা তখন তড়িঘড়ি করে একটি নতুন মুখ খুঁজতে থাকেন, যে চরিত্রটির সঙ্গে মানানসই। তারপর আরমানের চরিত্রটি রূপায়নের সুযোগ পান নবাগত শাহরুখ খান।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?
নেচে প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন শাহরুখকন্যা
দুই. দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা কমল হাসানের ‘হে রাম’ সিনেমায় শাহরুখের চরিত্রের নাম ছিল আমজাদ খান। ‘শোলে’ সিনেমায় গব্বর সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন আমজাদ খান। তার নাম অনুসারে ‘হে রাম’ সিনেমার আমজাদ চরিত্রের নামকরণ করা হয়। কারণ কমল হাসান ও আমজাদ খানের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলেন। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য এক টাকাও পারিশ্রমিক নেননি শাহরুখ। এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেছিলেন—“কমল হাসানের মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে কেউ টাকা নেয় না।”
তিন. শাহরুখ ও আমির খান কখনো একসঙ্গে কোনো সিনেমায় কাজ করেননি। তবে আমির খানের কাজিন মনসুর আলীর ‘জোশ’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। মনসুর চেয়েছিলেন, সিনেমার গল্পে আমির খান ঐশ্বরিয়ার প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করুক। কিন্তু আমির চেয়েছিলেন, ঐশ্বরিয়ার জমজ ভাইয়ের চরিত্র। কিন্তু তা হয়নি। ফলে কাজটি ছেড়ে দেন আমির খান। সর্বশেষ পরিচালকের নির্ধারিত চরিত্রে (ম্যাক্স ডিয়াস অর্থাৎ ঐশ্বরিয়ার ভাই) অভিনয় করেন শাহরুখ খান।
চার. শাহরুখ খান প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর বিপরীতে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। সর্বশেষ ‘আর্মি’ সিনেমায় সেই সুযোগ হয়। যদিও সিনেমাটিতে ক্যামিও চরিত্রে (মেজর অর্জুন) অভিনয়ের সুযোগ পান, তারপরও এটি লুফে নেন শাহরুখ খান।
পাঁচ. ‘কয়লা’ সিনেমায় শঙ্কর চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ। চরিত্রটি ছিল বোবার। প্রথমে তার কোনো সংলাপই ছিল না। কিন্তু এ নিয়ে চলচ্চিত্র পরিবেশকরা আপত্তি জানান। তারা প্রশ্ন তুলেন—‘সুপারস্টারের মুখে একটি কথাও থাকবে না?’ তাই পরিচালক-প্রযোজক রাকেশ রোশান বাধ্য হয়ে স্বপ্নদৃশ্যে শাহরুখের কিছু সংলাপ যোগ করে দেন।
ছয়. বলিউড বাদশা শাহরুখ খান তার সব সহ-অভিনয়শিল্পীদেরই ভালোবাসেন। কিন্তু তার প্রিয় হলেন রাখি গুলজার। ‘করন অর্জুন’ সিনেমায় শাহরুখের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী। শাহরুখ তাকে নিজের মায়ের মতোই ভালোবাসেন।
সাত. শাহরুখ খান অনেকবার নিজের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ১৯৯৮ সালে ‘আচানাক’ সিনেমায় প্রথমবার শাহরুখ চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও গোবিন্দ অভিনীত সিনেমাটিতে শাহরুখের ক্যামিও চরিত্র ছিল। এর দুই বছর পর এম. এফ. হোসেনের ‘গজ গামিনি’ সিনেমায় নিজের চরিত্রে অভিনয় করেন। এটিও ক্যামিও চরিত্র ছিল।
১৯৯৫ সালে শাহরুখ খানের সাংবাদিক বন্ধু সমর খান, শাহরুখের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। তাতে শাহরুখ খান নিজের নামে অভিনয় করেন। ২০০৯ সালে জোয়া আখতারের ‘লাক বাই চান্স’, ২০১১ সালে নবাগত পরিচালক সাহিল সাংঘার ‘লাভ ব্রেকআপস জিন্দেগি’, ২০১০ সালে মকরন্দ দেশপান্ডের শাহরুখ বোলা ‘খুবসুরত হ্যায় তু’ সিনেমায় শাহরুখ নিজের নাম নিয়েই পর্দায় হাজির হন।
তথ্যসূত্র: বলিউড হাঙ্গামা
ঢাকা/শান্ত