যে ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে
Published: 4th, June 2025 GMT
প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম বিশেষ ধরনের এক ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এই ব্যাকটেরিয়া এক্সট্রাসেলুলার রেসপিরেশন বা বহির্কোষীয় শ্বসন নামের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। এ প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়েই ব্যাটারি বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে। অক্সিজেন ছাড়া ব্যাকটেরিয়ার বিকাশ ঘটে এই কৌশলের মাধ্যমে। সাধারণভাবে বলা হয়, এসব ব্যাকটেরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। এসব ব্যাকটেরিয়া তাদের কোষের বাইরে ইলেকট্রন স্থানান্তর করতে ন্যাপথোকুইনোন ব্যবহার করে।
নতুন এই অনুসন্ধান জৈবপ্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করবে। নির্দিষ্ট ধরনের এই ব্যাকটেরিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে শ্বাস নিচ্ছে। একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে অক্সিজেন নেওয়ার পরিবর্তে চারপাশে ইলেকট্রন ঠেলে দিচ্ছে এই ব্যাকটেরিয়া, যেখানে বেশির ভাগ জীবন্ত প্রাণী খাদ্য বিপাক ও শক্তি নির্গমন করার জন্য অক্সিজেনের ওপর নির্ভর করে। এসব ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া যৌগ ব্যবহার করে ইলেকট্রনকে বহির্ভূত পৃষ্ঠে স্থানান্তর করতে পারে। সেল নামের বৈজ্ঞানিক জার্নালে এই ব্যাকটেরিয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
রাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যারোলিন আজো-ফ্র্যাঙ্কলিন বলেন, ‘আমাদের গবেষণা কেবল দীর্ঘস্থায়ী বৈজ্ঞানিক রহস্যের সমাধান করে না। প্রকৃতিতে নতুন ও সম্ভাব্যভাবে বেঁচে থাকার বিভিন্ন কৌশলের তথ্য জানাচ্ছে।’ বিজ্ঞানী বিকি বাপি কুন্ডু বলেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের এই নতুন প্রক্রিয়া বেশ সাধারণ আর উদ্ভাবনী। ন্যাপথোকুইনোন আণবিক বাহকের মতো কাজ করে। কোষ থেকে ইলেকট্রন বহন করে যেন ব্যাকটেরিয়া খাদ্য ভেঙে শক্তি উৎপাদন করতে পারে। যদিও বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে জৈবপ্রযুক্তি খাতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এই ব্যাকটেরিয়া বর্জ্য পরিশোধন ও জৈব উৎপাদনের মতো প্রযুক্তির প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন ভারসাম্যহীনতা ঠিক করতে সাহায্য করতে পারে। চিকিৎসা ও মহাকাশ অনুসন্ধানের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি দূষণ পর্যবেক্ষণেও ভূমিকা রাখতে পারে ব্যাকটেরিয়াটি।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর প রক র
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন