শেষ কর্মদিবসেও সচিবালয়ে কর্মচাঞ্চল্য
Published: 4th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস ছিল আজ বুধবার (৪ জুন)। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) শুরু হচ্ছে টানা ১০ দিনের ছুটি। শেষ কর্মদিবসেও সচিবালয় ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরে ছিল স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য।
বুধবার সকাল থেকেই সচিবালয়ে তথ্য, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিনের মতোই অফিস করছেন। হাজিরাও ছিল সন্তোষজনক। সচিবালয়ে গাড়ি রাখার স্থানগুলো ছিল গাড়িতে পূর্ণ। প্রধান গেট ও অভ্যর্থনা কক্ষে ছিল দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, অনেকে সহকর্মীদের সঙ্গে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। লিফট চালক, নিরাপত্তাকর্মী ও অন্যান্য সেবাদানকারী কর্মীরা ঈদের ‘বকশিশ’ আদায়ে সরব ছিলেন। সবার মধ্যে উৎসবের আবহ দেখা গেলেও কাজের গতি ছিল স্বাভাবিক।
এবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে আগামী ৭ জুন (শনিবার)। এ উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুন (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন।
অনেকে ছুটির পুরোটা সময় গ্রামের বাড়িতে কাটাতে চান। যেসব কর্মকর্তা দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন, তাদের অনেকেই একটু আগে আগে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন।
ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।