আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্তে অপরাধ দমন, গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির নীলফামারী ব্যাটালিয়নের (৫৬ বিজিবি) অধিনায়ক কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নীলফামারীতে ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

৫৬ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, চলতি বছর দেশের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্তসংখ্যক কোরবানির পশু মজুত আছে। পাশের দেশ থেকে গরুসহ কোরবানির পশু প্রবেশের কারণে দেশীয় খামারিরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন—সে বিষয়টি নিশ্চিতে কাজ করছে বিজিবি।

কর্নেল এস এম বদরুদ্দোজা জানান, দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারেন, এ জন্য বিজিবির সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াতের নিরাপত্তাবিধানে সচেষ্ট ও তৎপর থাকবেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত এলাকায় পুশ ইনের বিষয়ে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, পুশ ইন প্রতিরোধে ৫৬ বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে আছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নীলফামারী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, নীলফামারীতে এখনো কোনো পুশ ইন হয়নি। তবে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের সীমান্তে ৫৮ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যরাতে দরজায় কড়া...

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেছেন অনেক বলিউড অভিনেত্রী। কেউ বলেছেন ছোট শহর থেকে মুম্বাইয়ে টিকে থাকার সংগ্রাম নিয়ে, কেউ আবার বলেছেন সিনেমা পরিবারের বাইরে থেকে এসে বলিউডে জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে। এবার নিজে নিজেই হিন্দি সিনেমায় জায়গা করে নেওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন দিয়া মির্জা। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল দ্য অফিশিয়াল পিপল অব ইন্ডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেন দিয়া মির্জা। সেখানে তিনি বলিউডে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের নানা ঘটনা নিয়ে কথা বলেন ৪৩ বছর বয়সী অভিনেত্রী।

আরও পড়ুনমনে হচ্ছে মা হওয়ার বিষয়টা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছেন...১১ মে ২০২৫

২০০০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট ওঠে দিয়া মির্জার মাথায়। এরপর ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তিনি একজন ‘বহিরাগত’ হয়েও হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেন। কোনো সমর্থন ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা নিয়ে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিয়া বলেন, ‘এটা বলতে গেলে আমাকে এ বিষয়ে একটি বই লিখতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর অনেক জটিল, এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি কঠিন এবং ভয়ংকর ছিল।’

দিয়া জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের মধ্যরাতে দরজায় কড়া নাড়ার মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি নিজের হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করতেন। দিয়া বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত দর্শনার্থীদের এড়াতে আমি বহু বছর আমার হেয়ারড্রেসারের সঙ্গে থেকেছি। এটি আমার জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। পেছন ফিরে তাকালে আমার মনে হয়, কীভাবে আমি সেই সময় পার করেছি!’

দিয়া মির্জা। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ