বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণ আজকের দিনে অন্যতম মারাত্মক পরিবেশগত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘Ending Plastic Pollution’ অর্থাৎ ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়’ হওয়াটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে। দেশের ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ, ভোক্তা সংস্কৃতির প্রসার ও শিল্প খাতের দ্রুত সম্প্রসারণের ফলে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে নদ-নদী, খাল-বিল, কৃষিজমি ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে।

গত দুই দশকে বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে প্লাস্টিক ব্যবহার প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০০৫ সালে মাথাপিছু প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ৩ কেজি, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কেজিতে। রাজধানী ঢাকায় প্রতিবছর গড়ে মাথাপিছু ২২ দশমিক ২৫ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়, এই হার জাতীয় গড়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। রাজধানীতে প্রতিদিন উৎপাদিত ৬ হাজার ৬৪৬ টন কঠিন বর্জ্যের মধ্যে প্রায় ৬৪৬ টনই প্লাস্টিক, যার একটি অংশ অপরিশোধিত অবস্থায় নালা, খাল কিংবা নদীতে গিয়ে জমে থাকে। ঢাকা থেকে উৎপন্ন প্লাস্টিক বর্জ্যের একটি বড় অংশ বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে পৌঁছায়, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জলাবদ্ধতা, বন্যা ও পানিদূষণ বাড়ছে।

প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহ দিক হলো এর অদৃশ্য রূপ—মাইক্রোপ্লাস্টিক। এই মাইক্রোপ্লাস্টিক কেবল প্রাণিজগৎ নয়, মানবদেহের ওপরও ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। ২০২২ সালে ইতালির এক গবেষণায় সুস্থ মায়ের বুকের দুধে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। ভেঙে যাওয়া প্লাস্টিকের কণাগুলো মাছ, লবণ, এমনকি পানিতেও মিশে যাচ্ছে, যা মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যানসার, হরমোন ভারসাম্যহীনতা ও প্রজনন সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে কৃষিজমিতে জমে থাকা প্লাস্টিক মাটির উর্বরতা হ্রাস করে ও শস্যের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়। প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস শিশু, বৃদ্ধ ও দুর্বল শ্বাসপ্রশ্বাসের রোগীদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটি শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের প্রদাহ, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসযন্ত্রের রোগও সৃষ্টি করতে পারে। প্লাস্টিক দূষণজনিত রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, যার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা।

অর্থনৈতিক দিক থেকেও প্লাস্টিক দূষণ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনের মতো জনপ্রিয় পর্যটন এলাকাগুলোতে প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশগত ক্ষতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে, যা পর্যটনশিল্পকে সরাসরি প্রভাবিত করছে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তির আলোচনায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধের প্রস্তাব উঠেছে, যা বাংলাদেশের প্লাস্টিকশিল্পের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যদিও এই চুক্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি, এটি বাংলাদেশের প্লাস্টিক রপ্তানি ও শিল্প খাতের ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটি বাংলাদেশের জন্য পরিবেশবান্ধব টেকসই শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ হতে পারে।

এই বাস্তবতায় বাংলাদেশ সরকার ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে এবং ধাপে ধাপে একবার ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নীতিগতভাবে এটি প্রশংসনীয় হলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক বাধা। বাজারে টেকসই ও সাশ্রয়ী বিকল্পের অনুপস্থিতি, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুর্বলতা নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি, মূলত আমাদের অসচেতনতা, কালোবাজারি ও দুর্নীতির কারণে।

প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় কেবল আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন একটি সমন্বিত ও টেকসই দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও দক্ষ ও কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারযোগ্য হলেও, ব্যবহৃত প্লাস্টিকের মাত্র ৩৭ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথক্‌করণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণে রয়েছে ঘাটতি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো উচ্চবর্ধনশীল মহানগরগুলোতে উৎসস্থলেই বর্জ্য পৃথক্‌করণ বাধ্যতামূলক করা এখন জরুরি। একই সঙ্গে ‘স্মার্ট রিসাইক্লিং হাব’ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যেখানে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাইকরণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্য পূরণে সরকারি নীতিনির্ধারণ, বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ ও নাগরিক সচেতনতা—এ তিনটি স্তরেই সমান্তরালভাবে কাজ করতে হবে। একটি সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিই পারে বাংলাদেশকে প্লাস্টিক দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে।

জনসচেতনতা গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। প্লাস্টিক দূষণ রোধে স্কুল-কলেজে পরিবেশ শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া ও রেডিওতে নিয়মিত প্রচারাভিযান চালাতে হবে। মিডিয়ায় পরিবেশবান্ধব বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা, র‍্যালি ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান আয়োজনের মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

প্লাস্টিক দূষণ রোধে পাটজাত পরিবেশবান্ধব পণ্যের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে হবে। সরকারি ভর্তুকি ও করছাড়ের মাধ্যমে ‘জুটন’ ব্যাগসহ অন্যান্য বায়োডিগ্রেডেবল পণ্য সহজলভ্য করা গেলে তা সাধারণ মানুষের জন্য টেকসই বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন প্লাস্টিকনির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে এটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে, বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে, যেখানে বায়োডিগ্রেডেবল পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।

প্লাস্টিক দূষণ রোধে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ওয়েস্ট কনসার্ন, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, গ্রিন সেভার্স ও বিডি ক্লিনের মতো পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, রিসাইক্লিং উদ্যোগ, সবুজায়ন ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। এ ধরনের সংগঠনের উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস–২০২৫ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে প্লাস্টিক দূষণ কেবল পরিবেশগত নয়, বরং অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটেও রূপ নিচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন সুসংহত কৌশল, শক্তিশালী নীতি এবং সর্বস্তরের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র—সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। এখনই সময় এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার, যেখানে পরিচ্ছন্নতা, পুনর্ব্যবহার ও পরিবেশবান্ধব জীবনধারাই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষাকবচ।

মুকিত মজুমদার চেয়ারম্যান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল স ট ক বর জ য র ব যবহ র পর ব শ আম দ র দ ধ কর র জন য সরক র ট কসই

এছাড়াও পড়ুন:

‘প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার এখনই সময়’

‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’-এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বাংলাদেশ সরকারের এই স্লোগান যেন প্লাস্টিক দূষণের বাস্তবতা। প্রতিদিন হাজার হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্যে সয়লাব হয়ে পড়ছে শহর-বন্দর, নদী-নালা ও সমুদ্র উপকূল। পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি বাড়ছে মানুষের দৈনন্দিন দুর্ভোগ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ৮ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য। বাকি প্রায় ৫ লাখ টন বর্জ্য থেকে যাচ্ছে প্রকৃতিতে, যা শত বছরেও নষ্ট হয় না। এই দীর্ঘস্থায়ী দূষণ মাটি, পানি ও বায়ুর সঙ্গে মিশে ইকোসিস্টেম ধ্বংস করছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

প্লাস্টিক বর্জ্যের বড় অংশজুড়ে রয়েছে একবার ব্যবহারযোগ্য পানির বোতল, পলিথিন, প্রসাধনী ও ঘরোয়া সামগ্রী।এগুলো নর্দমা ও ল্যান্ডফিলে গিয়ে বর্ষার পানিতে বাধা সৃষ্টি করে শহরে জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।বর্ষা মৌসুমে ঢাকা শহরে বৃষ্টি হলেই যে জলাবদ্ধতা তৈরি হয় সেটা এসব প্লাস্টিকের কারণেই হয় বলে মনে করেন অনেকে।

আরো পড়ুন:

কারখানায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে দাম দিতে হবে : উপদেষ্টা  

কিশোরগঞ্জে পানি উঠছে না নলকূপে, খাবার পানির তীব্র সংকট

দেশের প্রধান তিন নদী-পদ্মা, মেঘনা ও যমুনায় প্রতিদিন পড়ছে প্রায় ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক ও পলিথিন। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) জানায়, দেশের নদীগুলোর পানিতে প্রতিদিন ১৫ হাজার ৩৪৫ টন প্লাস্টিক গিয়ে পড়ে, যা সরাসরি বঙ্গোপসাগরে জমা হচ্ছে। এর ফলে সমুদ্রের তলদেশে প্লাস্টিকের স্তর তৈরি হচ্ছে, মারা যাচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণী, ধ্বংস হচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণিবৈচিত্র্য।

ঢাকায় প্লাস্টিক দূষণ সবচেয়ে ভয়াবহ। দেশের মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের ৩০ শতাংশের বেশি উৎপন্ন হয় রাজধানীতে। প্রতিদিন গড়ে ৬৮১ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ৮০ শতাংশই একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য। মাথাপিছু বছরে যেখানে গড়ে ৯ কেজি বর্জ্য উৎপন্ন হয়, ঢাকায় তা দ্বিগুণ-১৮ কেজি। নগর ব্যবস্থাপনার জন্য একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্লাস্টিক ব্যবহারকারী শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আছে বাংলাদেশ। ২০০৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্লাস্টিক ব্যবহার বেড়েছে তিনগুণের বেশি। ২০১৫ সালের গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশের শহরগুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ৫০ হাজার টনে পৌঁছাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিনের প্যাকেটসহ সিঙ্গেল ইউজ প্রোডাক্টের কারণে শহর ব্যবস্থাপনায় ধস নেমেছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য নর্দমা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। অপরিকল্পিত নগরায়নে কংক্রিটের নিচে মাটি হারিয়ে ফেলায় পানির প্রাকৃতিক শোষণও হচ্ছে না। ফলে প্লাস্টিক বর্জ্যে আটকে থাকা ড্রেন ও খালে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দরিদ্র ও বস্তিবাসী মানুষ।

রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “পরিবেশ দূষণের জন্য প্লাস্টিক ও পলিথিন অন্যতম দায়ী।বিশেষ করে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, প্যাকেট ও পলিথিন সবচেয়ে বড় ক্ষতির কারণ। গত তিন মাসে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ১০৮ কিলোমিটর খাল পরিষ্কার করা হয়েছে যার অধিকাংশই প্লাস্টিকে ভরপুর ছিল। সোর্স থেকে প্লাস্টিক না কমালে শুধু পরিষ্কার করে কোন লাভ হচ্ছে না।”

এই বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও অন্তর্বর্তী সরকার পরিবেশ দূষণ রোধ করতে সব সরকারি অফিসে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন।কিন্তু সার্বিকভাবে প্লাস্টিক দূষণের ফলে পরিবেশকে বিপর্যয় থেকে মুক্ত করতে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি টেকসই, বাস্তবসম্মত এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি জনসচেতনতা ও সরকারি নজরদারি বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার এখনই সময়’