খুলনার কয়রা উপজেলার একজন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বানিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে একটি চক্র। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়রা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কয়রার বাসিন্দা ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো.

আবু বকর সিদ্দিক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কয়রার এক বহিষ্কৃত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আওয়ামী ঘরানার একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য, ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে আমাকে “আওয়ামী দোসর” বলে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি পেশাগতভাবে সাত বছর ধরে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে সততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।’

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কয়রায় আমার এক সহকর্মী আইনজীবী আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে সেখানে উপস্থিত হই। অথচ সেই অনুষ্ঠানের একটি সাধারণ ছবি ব্যবহার করে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।’

ছাত্রজীবনে কখনো আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না দাবি করে আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বরং আমি ২০০৭ সালে ছাত্রশিবিরের কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ শাখার সভাপতি ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেসব পরিবার পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছে, বিনা পয়সায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সম্প্রতি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরও একইভাবে নিপীড়িতদের আইনগত সহায়তা দিচ্ছি। বর্তমানে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আওয়ামী ঘরানার লোকজনের বিরুদ্ধে করা ২৬টির বেশি মামলায় আমি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি।’

আজ শুক্রবার সকালে আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নম্বর ৩৫৯, তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২৫। এর আগেও এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছিল। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ মহল আবারও সেটি ছড়িয়ে আমাকে মানসিক ও পেশাগতভাবে হয়রানি করছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বকর স দ দ ক আইনজ ব আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির আগে রাশিয়া–ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণা করা তিন দিনের যুদ্ধবিরতির আগে দেশটিতে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবস্তুর আওতায় ছিল রাজধানী মস্কোও। আজ মঙ্গলবার এসব হামলা চালানো হয়। এর জেরে দেশটির অনেক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল স্থগিত করা হয়।

পুতিনের ঘোষণা করা যুদ্ধবিরতি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান নাৎসিদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ মিত্রপক্ষের জয়ের ৮০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ওই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে শুক্রবার (৯ মে) মস্কোর রেড স্কয়ারে রুশ সামরিক বাহিনীর বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হবে।

শুক্রবারের ওই কুচকাওয়াজে প্রায় ২০ দেশের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও। আগামীকাল বুধবার তাঁর রাশিয়া পৌঁছানোর কথা। এর আগেই রাশিয়াজুড়ে ইউক্রেনের শতাধিক ড্রোন হামলার খবর জানালো মস্কো। কিয়েভও জানিয়েছে, তাদের ওপর ১৩৬টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।

ইউক্রেনের হামলার পর আজ মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেন, মস্কো ঘিরে ১৯টি ড্রোন ধ্বংস করেছে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলো। ওই ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ প্রধান একটি সড়কে গিয়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হননি। এ ছাড়া রুশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে একটি সুপারমার্কেটের জানালার কাচ ভাঙা দেখা গেছে। এ ছাড়া আবাসিক একটি ভবনের একাংশ পুড়ে কালো হয়ে যেতেও দেখা যায়।

রাশিয়ার কেন্দ্রীয় বিমান চলাচল সংস্থার বরাতে দেশটির বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, হামলার পর এক ডজনের বেশি বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে মস্কোর চারটি বিমানবন্দর রয়েছে। তবে শহরের প্রধান শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে তেমন প্রভাব পড়েনি। হামলায় সেবা বিঘ্নিত হয় ভোলগোগ্রাদ ও নিঝনি নোভোগ্রোদ শহরের বিমানবন্দরেও।

এদিকে রাশিয়ার ভোরোনেঝ ও পেনজার গভর্নরেরা জানিয়েছেন, আজ এই দুই অঞ্চলে যথাক্রমে ১৮ ও ১০টি ইউক্রেনের ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কেউ হতাহত হননি। এ ছাড়া কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্দার খিনশতেইন জানিয়েছেন, সেখানে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হামলা হয়েছে। এতে দুই কিশোর আহত হয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশটিতে রাশিয়ার হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ওদেসা অঞ্চলে একজন এবং ক্রামাতোরস্ক শহরে একজন নিহত হন। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ৯ মে কুচকাওয়াজ ঘিরে একটি আনন্দদায়ক আবহ তৈরি করার জন্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে খেলছেন পুতিন।

আরও পড়ুনইউক্রেনে প্রতি বর্গকিলোমিটার দখল করার দাম দাঁড়াচ্ছে ২৭ রুশ সেনার প্রাণ০৬ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ঈদের দিনেও ইসরায়েলের হামলা, নিহত ২০
  • আসছে অরুন্ধতী রায়ের নতুন বই ‘মাদার মেরি কামস টু মি’
  • যুদ্ধবিরতির আগে রাশিয়া–ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা
  • সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের প্রস্তুতির জন্য করণীয়
  • ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ: সুপ্রিম কোর্ট
  • আসামে শত শত ভারতীয়কে বিদেশি বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে: মুম্বাইভিত্তিক সিজেপির প্রতিবেদন
  • ‘বন্দুকের মুখে আমাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়’
  • কোরবানির পশু সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানতেই হবে
  • ময়মনসিংহে বাড়ি ফেরার পথে আইনজীবীকে পেটাল দুর্বৃত্তরা