আইনজীবীকে ‘আওয়ামী দোসর’ বানিয়ে প্রচারণা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
Published: 6th, June 2025 GMT
খুলনার কয়রা উপজেলার একজন আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে তাঁকে ‘আওয়ামী দোসর’ বানিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে একটি চক্র। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়রা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কয়রার বাসিন্দা ও খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো.
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কয়রার এক বহিষ্কৃত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ আওয়ামী ঘরানার একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া তথ্য, ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে আমাকে “আওয়ামী দোসর” বলে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি পেশাগতভাবে সাত বছর ধরে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে সততা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি।’
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘কয়রায় আমার এক সহকর্মী আইনজীবী আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে সেখানে উপস্থিত হই। অথচ সেই অনুষ্ঠানের একটি সাধারণ ছবি ব্যবহার করে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।’
ছাত্রজীবনে কখনো আওয়ামী লীগ বা তাদের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না দাবি করে আবু বকর সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বরং আমি ২০০৭ সালে ছাত্রশিবিরের কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ শাখার সভাপতি ছিলাম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেসব পরিবার পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছে, বিনা পয়সায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সম্প্রতি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরও একইভাবে নিপীড়িতদের আইনগত সহায়তা দিচ্ছি। বর্তমানে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আওয়ামী ঘরানার লোকজনের বিরুদ্ধে করা ২৬টির বেশি মামলায় আমি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি।’
আজ শুক্রবার সকালে আবু বকর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নম্বর ৩৫৯, তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২৫। এর আগেও এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছিল। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ মহল আবারও সেটি ছড়িয়ে আমাকে মানসিক ও পেশাগতভাবে হয়রানি করছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বকর স দ দ ক আইনজ ব আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
লাল চাঁদ হত্যাকাণ্ড: তদন্তে বিচারিক কমিশন গঠন চেয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠন ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ১৩ জুলাই রিটটি করেন। পরদিন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন (১৪ জুলাই) শুনানি নিয়ে ওই দ্বৈত বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বিষয়টি ডিলিট (বাদ দেন) করে দেন। এরপর বিচারপতি হাবিবুল গনির নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দাখিল করেন রিট আবেদনকারী। আজ রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় ৮৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজে শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন ও তদন্ত চলছে উল্লেখ করে আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের অপর কোনো বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করা হবে।’
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে ৯ জুলাই লাল চাঁদকে হত্যা করে একদল লোক। পিটিয়ে, ইট-পাথরের খণ্ড দিয়ে আঘাত করে তাঁর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনমিটফোর্ডের সামনে লাল চাঁদকে হত্যায় আরও তিন আসামির স্বীকারোক্তি, দুজন রিমান্ডে২৩ জুলাই ২০২৫লাল চাঁদ হত্যার ঘটনায় ১০ জুলাই রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। নিহত ব্যক্তির বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। এই মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।