চট্টগ্রামে মাদ্রাসা-এতিমখানায় ৭ লাখ ৭৪ হাজার চামড়া সংরক্ষণ
Published: 9th, June 2025 GMT
চট্রগ্রাম বিভাগের এগারো জেলার মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, গরু ও মহিষের চামড়া সংরক্ষণ করা হয় ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি। এছাড়া ছাগলের চামড়া সংরক্ষণ করা হয় ৭৪ হাজার ৩০২টি।
আরও বলা হয়, জেলাগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামের সংগৃহীত চামড়ার সংখ্যা দুই লাখ বাহাত্তর হাজার একশটি, কক্সবাজারে সাইত্রিশ হাজার আটশ ঊননব্বইটি,নোয়াখালীতে এক লাখ তেরো হাজার আটশ একত্রিশটি, চাঁদপুরে তেইশ হাজার পয়ষট্টিটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিরানব্বই হাজার সাতশ একাশিটি, খাগড়াছড়িতে পাঁচ হাজার আটশ ঊনপঞ্চাশটি,লক্ষ্মীপুরে এগারো হাজার আটশ সাইত্রিশটি, ফেনীতে তেরো হাজার পাঁচশ নয়টি, রাঙ্গামাটিতে দুই হাজার আটশ আটচল্লিশটি, বান্দরবানে দুই হাজার দুইশ বিরানব্বইটি, কুমিল্লায় এক লাখ একানব্বই হাজার সাতশ পচাশিটি। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে এ সকল চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে সরকার সরবরাহকৃত বিনামূল্যের লবন দিয়ে।
উল্লেখ্য, এ বছর কোরবানির চামড়ার মূল্য বৃদ্ধি এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের এতিমখানা, মসজিদ ও মাদ্রাসাসমূহে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবন সরবারহ করা হয়। যাতে করে স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ৭৪ হ জ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী