গোপালগঞ্জে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফয়সাল শেখ (১৫) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের মল্লিকেরমাঠ নামক স্থানে গোপালগঞ্জ-পিরোজপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনায় আরোহী লাবিব শেখ (১২) ও রাকিব শেখ (২২) নামে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম।

নিহত ফয়সাল শেখ বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের আলম শেখের ছেলে। এছাড়া আহত দুইজন লাবিব ও রাকিব টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরদারপাড়া গ্রামের চাঁন মিয়া শেখ ও মৃত খোকন শেখের ছেলে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খোরশেদ আলম বলেন, ফয়সাল ঈদের ছুটিতে টুঙ্গিপাড়ার সরদারপাড়া গ্রামে তার মামাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। পরে সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় দুই মামাতো ভাইকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তারা গোপালগঞ্জ ঘুরতে যাচ্ছিল। তাদের মোটরসাইকেলটি মল্লিকেরমাঠ পৌঁছালে গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক ফয়সাল নিহত হয়। আর গুরুতর আহত দুজনকে গোপালগঞ্জ আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি খোরশেদ আরও বলেন, প্রাইভেট কারের চালক স্থানীয় লোকজন পৌঁছানোর পূর্বেই পালিয়ে যায়। আর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার থানায় নিয়ে আসে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফয়সাল শেখের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ সড়ক দ র ঘটন ন হত গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মৌসুমি ফল বিক্রিতে বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা লিটনের

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া (পুরাতন সাব রেজিস্ট্রি অফিস) এলাকায় অবস্থিত লিটন মিয়া নিজের চা-পান দোকানের পাশেই বসিয়েছেন মৌসুমি ফলের রঙিন পসরা। এই মৌসুমি ফল বিক্রির মাধ্যমে তিনি জীবিকার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়েরও ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। 

সরেজমিনে দেখা গেল, প্রতি পিস আনারস ৬০ টাকায়, জোড়া ১০০ ও হালি হিসেবে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব রসালো আনারস। লিটন মিয়া শুধু একা নন, স্থানীয়দের অনেকেই মৌসুমী ফল বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করছেন।

চল্লিশোর্ধ্ব লিটন মিয়া বলেন, “আমাদের দেশে এই সময় নানা রকম মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তাল, জামরুল প্রভৃতি ফল যখন পরিপক্ব হয়, তখন আমি সেগুলো বিক্রি করি। এটি আমার অতিরিক্ত আয়ের একটি অন্যতম উৎস।”

তিনি বলেন, “এভাবে মৌসুমি ফল বিক্রি করে আমার কিছুটা বাড়তি আয় হয়। কখনো কখনো ফলের ব্যবসা আমার চা-পান দোকানের থেকেও লাভজনক হয়ে যায়।”

কালীগঞ্জ উপজেলার গ্রামাঞ্চলে এই ধরনের মৌসুমি ফল বিক্রি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিটন মিয়া নিজের প্রচেষ্টায় এই ব্যবসা করছেন। তিনি আশা করেন তার এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে এখানকার কৃষকরা ফল চাষে উৎসাহী হবেন এবং বিক্রেতারাও তা বাজারে নিয়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পাবেন।

লিটন মিয়া জানান, ফলগুলো তিনি কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করেন। এতে কৃষকদের সুবিধা হয়, কারণ তারা নিজেরা সরাসরি বাজারে পৌঁছানোর ঝামেলা এড়াতে পারেন এবং দামও ভালো পান।

লিটন মিয়ার সাথে কথা বলার সময় দেখা কয়েকজন ক্রেতাকে লিটন মিয়ার কাছ থেকে আনারস ও কাঁঠাল কিনে নিতে দেখা গেল। এদের মধ্যে কথায় হয় ক্রেতা ওছমান মিয়ার সাথে। 

তিনি বলেন, “ভালো ফলের দাম ভালোই থাকে কিন্তু লিটন ভাইয়ের কাছ থেকে কম দামেই আমরা কিনতে পারি। ফলগুলোও একেবারে টাটকা ও মিষ্টি। সে কারণে আমি প্রায়ই এখান থেকে ফল কিনি।”

অপর ক্রেতা রমজান আলী বলেন, “এখানকার ফলগুলো অনেক ভালো। আর দামও সস্তা। আমি প্রতি সপ্তাহেই এখান থেকে ফল কিনি।”

স্থানীয়রা জানান, সচেতনভাবে অতিরিক্ত আয়ের পথ খুঁজে নিতে হলে উদ্ভাবনী মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিটন দিয়া তার উদাহরণ। তিনি যে মৌসুমি ফল বিক্রি করেন, তা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যই দেয় না বরং গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতেও ভূমিকা রাখে। তার এই উদ্ভাবনী মনোভাব অন্যদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা।

ঢাকা/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ