প্রশংসায় রাজ-ফারিণদের ইনসাফ, শো বাড়ানোর দাবি পরিচালকের
Published: 11th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা‘ইনসাফ’। দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। তবে স্টার সিনেপ্লেক্সেসহ অন্যান্য মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটির শো প্রপার টাইম ও শো কম থাকায় দর্শকরা সিনেমাটি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। তার ভাষ্য, ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকের ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমরা সিনেমা হলে গিয়েছি, দর্শকের সঙ্গে কথা বলেছি। দর্শক সিনেমাটিকে আপন করে নিয়েছে এবং তারা বলছে এটি দুর্দান্ত হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সে ইনসাফের শোগুলো হাউজফুল যাচ্ছে। তবে শো কম দেওয়ায় অনেক দর্শকরা সিনেমাটি দেখার ইচ্ছে থাকলেও দেখতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে শো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সঞ্জয় সমদ্দার। তিনি বলেন, আমরা আশা করব আগামী শুক্রবার থেকে দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের ইনসাফের শো বাড়াবে।
সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, শাকিব খান দেশের সেরা তারকা। তার সিনেমা সর্বাধিক শো পাবে। তার সিনেমা দেখতে দর্শকরা ভিড় করবে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি ইনসাফ সিনেমাও কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। শাকিব খানের বাইরে অন্য সব তারকার ছবিগুলোকেও মাল্টিপ্লেক্সের সুযোগ বাড়ানো দরকার।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মাল্টিপেপ্লেক্সে ইনসাফের শো বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। তিনি জানান, ঈদের তৃতীয় দিন ব্লকবাস্টারে শো ছিল তিনটা। সেটা বেড়ে পাঁচটা হয়েছে। এছাড়া সিনেমা হলের ব্যাপারে এক সপ্তাহ না গেলে কিছু বোঝা যাবে না। তবে হলের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আমার বিশ্বাস।
একেবারে মৌলিক গল্পের সিনেমা ইনসাফ। নির্মাতার ভাষ্য, ইনসাফ একটি বাংলাদেশী মৌলিক গল্পের সিনেমা। যেখানে আমরা দর্শককে বিনোদন দেয়ার সব আয়োজন করেছি। ইমোশন, অ্যাকশন, প্রেম সবই আছে এ সিনেমায়।
ইনসাফ সিনেমায় নায়ক হিসেবে আছেন শরিফুল রাজ। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। এই সিনেমাটির মাধ্যমে পুরোপুরি বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিষিকক্ত হয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ। ক্যামিও দিয়েছেন চঞ্চল ছৌধুরী।
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে তিতাস কথাচিত্র। এ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও টিওটি ফিল্মও এই সিনেমার প্রযোজক হিসেবে রয়েছে।
'ইনসাফের’ গল্প ও চিত্রনাট্য লিখছেন নাজিম উদ দৌলা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত সন য় ফ র ণ ইনস ফ র
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।
বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।
অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।
আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।