সড়কের কাজে ‘অনিয়ম’ নিয়ে ফেসবুকে লাইভের সময় সাংবাদিককে ঠিকাদারের গালাগাল
Published: 13th, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ফুটপাতে টাইলস বসানোর কাজে অনিয়ম তুলে ধরার সময় এক সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শহরের গুহ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার একটি ১৪ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ফুটপাতে পুরোনো টাইলস ভেঙে নতুন টাইলস বসানোর কাজ চলছিল। সে সময় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি ও শ্রীমঙ্গল পর্যটনসেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক এস কে দাশ সুমন সেখানে গিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অভিযোগ করেন যে ‘এখানে বালুর পরিমাণ বেশি, সিমেন্ট কম দেওয়া হচ্ছে।’ লাইভের মাঝেই ঠিকাদার কুতুব উদ্দিন সেখানে এসে তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ঠিকাদার ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ সময় উপস্থিত লোকজন বলেন, এখানে আগের টাইলসই ভালো ছিল। সেগুলো ভেঙে নতুন করে এভাবে কাজ করা হচ্ছে। বালুর পরিমাণই বেশি দিচ্ছেন ঠিকাদারের লোকজন। এগুলো কেউ দেখছেন না।
এস কে দাশ সুমন বলেন, সকাল থেকেই অনেক লোক ফোন করে বলছিলেন, ‘এখানে অনিয়ম হচ্ছে। তাই আমি প্রমাণ রাখতে ফেসবুকে লাইভে আসি। হঠাৎ ঠিকাদার এসে আমাকে এবং আরও কিছু সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। আমি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ঠিকাদার কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘ফুটপাতে টাইলস বসানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ইলস
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুদকের ডেপুটি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম (জনসংযোগ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অধীন রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ডিপো এক্সেস করিডোর নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। জালিয়াতির মাধ্যমে মো. রিয়াজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারি কোষাগার থেকে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৪১৮ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
নূরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, ১২ বছর পর তোলা হলো আবু বকরের দেহাবশেষ
দুদক জানায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি রিয়াজ সংশ্লিষ্ট জমির মূল দলিল হারিয়ে গেছে মর্মে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানায় পাঁচটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ওই দলিলগুলোর সার্টিফায়েড কপি উত্তোলন করে ভূমি অধিগ্রহণ অফিসে জমা দেন এবং ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন।
শুধু তাই নয়, ওই রিয়াজের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতারণার প্রমাণও পেয়েছে দুদক। সে তার জমি ইতোপূর্বে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (সোনালী ব্যাংক) কাছে বন্ধক রাখে এবং বন্ধকী দলিল এখনো কার্যকর রয়েছে।
প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করায় মো. রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলার অনুমোদন করা হয় বলে দুদক জানায়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী