সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 13th, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ‘সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’র উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক মিজানুর রহমান মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, কবি রহমান মুজিব, সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বী সোহেল, সোনারগাঁয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ কমিটি’র সদস্য সচিব লেখক ও সাংবাদিক রবিউল হুসাইন, সংস্কৃতিকর্মী ও ব্যাংকার মতিউর রহমান, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সভাপতি আসমা আখতারী, অর্থ সম্পাদক সেলিম আহমেদ প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাখ্খার সাগর, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক মোয়াজ্জেনুল হক, ব্যবসায়ী মোঃ মহিউদ্দিন, সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এরশাদ হুসাইন অন্য, নির্বাহী সদস্য রোকেয়া আক্তার বেবী, শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন ও সংগঠক খাদিজা আক্তার।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইমরান হোসেন, রাসেল আহমেদ ও ইসকান্দার আলী আলভী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোনারগাঁয়ের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধশালী। প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এ সোনারগাঁ । দেশ-বিদেশে সোনারগাঁয়ের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এ অঞ্চলে বহু প্রত্মসম্পদ রয়েছে। তার মধ্যে কোম্পানিকা সেতু একটি প্রাচীন প্রত্নসম্পদ।
বর্তমানে এটি অযত্নে, অবহেলায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। অবিলম্বে এ প্রত্মসম্পদকে সংস্কার ও সুরক্ষার দাবি জানান বক্তারা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স ন রগ স রক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
চামড়াশিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো চক্র ও সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন। এই সিন্ডিকেট ও চামড়াশিল্প ধ্বংসের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত ‘চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো’ শীর্ষক মানববন্ধনে এসব কথা বলা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মির্জা শরিফুল আলম। সভায় বক্তব্য দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, কলামিস্ট মীর আবদুল আলীম, রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, মানবাধিকারকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।
কয়েক বছর ধরে কাঁচাচামড়ার দাম কমছে। দাম না পেয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া নদী বা খালে ফেলে দিয়েছেন কিংবা মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন– এমন ঘটনাও ঘটছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছর ৮৫ থেকে ৯০ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ট্যানারি মালিকদের। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ হয় কোরবানির সময়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানিদাতাদের থেকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন। সেসব চামড়া আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে তলানিতে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি চক্রান্তে দেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট শিল্পকে সুকৌশলে ধ্বংস করা হয়েছে। এবার আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়া শিল্প। গত বছরের মতো এবারও কম দামে সব ধরনের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। এতে করে গরিব-অসহায় মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।