ঈদের দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি শেষে সূচকের বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। কেনাবেচার পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। তবে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক শেয়ারের দর কমেছে।
যদিও ইরান-ইসরায়েল সামরিক সংঘাত ঘিরে দর পতনের শঙ্কা ছিল অনেকের মনে। এ সংঘাত শুরুর পরদিন শুক্রবার বিশ্বের সব বড় শেয়ারবাজারের দর পতন এ শঙ্কাকে উস্কে দেয়। সকাল ১০টায় দিনের লেনদেনের শুরুটাও হয়েছিল সেভাবে। তবে ওই ধারা আধা ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়নি।

লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দুপুর ১টা পর্যন্ত মিশ্রধারায় চলার পর শেষ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারের দর বাড়ে। লেনদেনও বাড়ে শেষাংশে। প্রথম তিন ঘণ্টায় যেখানে ১৫২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়, সেখানে ১০ মিনিটের ক্লোজিং সেশনসহ শেষ দেড় ঘণ্টায় প্রায় ১১২ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

এদিন ঢাকার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫২টির কম-বেশি কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ১৩৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৭টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৫০টির দর। 
দর বৃদ্ধির তুলনায় দর হারানো শেয়ার সংখ্যা বেশি হলেও প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭২৪ পয়েন্টে উঠেছে। যদিও লেনদেনের প্রথম ১৫ মিনিটে ২৬ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৬৮৩ পয়েন্টে নেমেছিল। পরে লেনদেন শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে ওই অবস্থান থেকে ৫১ পয়েন্ট বা আগের কর্মদিবসের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭৩৪ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল। 
তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের বেশির ভাগ দর হারিয়েছে। ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৩৫টির। এর মধ্যে ছয়টির দর বেড়েছে, কমেছে ১১টির, অপরিবর্তিত বাকি ১৮টির দর।
গতকাল ডিএসইতে ২৬৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে ৩২ কোটি টাকার লেনদেন নিয়ে শীর্ষে ছিল লাভেলো। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে আবারও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক ঘণ্টায় আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এসব হামলায় ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে আরও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হাইফা, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ও বিকট শব্দ শোনা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সারা দেশে ১০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ