ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ও পাল্টা হামলার মধ্যে ইরান নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী ও ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক-বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তাঁদের একজন দেশটির অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের বহুমুখী বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।

এ পরিস্থিতিতে সামরিক নেতৃত্বে শূন্য পদ পূরণে ইরান বেশ কয়েকজন নতুন কমান্ডারকে পদোন্নতি দিয়েছে।

কোন কোন কমান্ডার নিহত হয়েছেন, তাঁদের জায়গায় কারা এসেছেন এবং তাঁরা এই প্রাণঘাতী সংঘাতের ভবিষ্যতের জন্য কী বার্তা দিচ্ছে, তা দেখে নেওয়া যাক।

নিহত কমান্ডাররা কতটা শীর্ষ পর্যায়ের ছিলেন

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের বহুমুখী হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিও রয়েছেন। এই অভিজ্ঞ যোদ্ধা ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি কেবল দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে কাজের জবাবদিহি করতেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের আরও কয়েকজন সদস্য ছিলেন, যাঁদের মধ্যে অপারেশনস বিভাগের উপপ্রধান মেহেদি রাবানি ও গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান গোলামরেজা মেহরাবি অন্যতম।

শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের বহুমুখী হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরিও ছিলেন।

আইআরজিসির শীর্ষ পদে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তাও ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামিও রয়েছেন।

ইরানের বিস্তৃত ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি উন্নয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসির বিশিষ্ট মহাকাশ বিভাগ তেহরানে ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে বৈঠকে থাকা আটজন শীর্ষ কমান্ডারের নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আইআরজিসির মহাকাশ বিভাগের দীর্ঘদিনের পরিচালক আলি আকবর হাজিজাদেহ রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ও ড্রোন উইংয়ের কমান্ডাররাও প্রাণ হারিয়েছেন।

আরও পড়ুনইসরায়েলি হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান নিহত: রাষ্ট্রীয় টিভির খবর১৩ জুন ২০২৫নতুন কমান্ডাররা কারা

খামেনি ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ আবদোলরহিম মোসাভিকে সশস্ত্র বাহিনীর নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

৬৫ বছর বয়সী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোসাভি সেনাবাহিনীর প্রথম কোনো কর্মকর্তা, যিনি এ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে এ দায়িত্বে থাকা সবাই আইআরজিসি থেকে আসা কর্মকর্তা ছিলেন।

মোসাভিও একজন যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেনা কর্মকর্তা। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর তিনি সুপ্রিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে সামরিক প্রশিক্ষণ ও লেখাপড়া সম্পন্ন করেন।

আইআরজিসির নেতৃত্বের জন্য মোহাম্মদ পাকপুরকে বেছে নিয়েছেন খামেনি। যুদ্ধে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাকপুর আইআরজিসিতেই নিজের সামরিক জীবন শুরু করেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

১৯৮০-এর দশকে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের সময় পাকপুরকে আইআরজিসির সাঁজোয়া ইউনিটের নেতৃত্ব দেন, পরে যুদ্ধে অংশ নেওয়া একটি ডিভিশনের দায়িত্বও সামলেছেন।

আরও পড়ুনইসরায়েলের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি নিহত১৩ জুন ২০২৫

প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে পাকপুর টানা ১৬ বছর আইআরজিসির স্থলবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আইআরজিসিতে অপারেশনস বিভাগের উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বাহিনীর দুটি প্রধান সদর দপ্তরের নেতৃত্বেও ছিলেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি সেনা কর্মকর্তা আমির হাতামিকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ৫৯ বছর বয়সী হাতামি একজন অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা, যিনি ইরাকে আক্রমণের সময়, বিশেষ করে অপারেশন মেরসাদের পর সেনাবাহিনীতে ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে ওপরে উঠে আসেন।

আইআরজিসির মহাকাশ বিভাগের নতুন প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজিদ মোসাভি। ধারণা করা হয়, তিনি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন প্রযুক্তি ও মহাকাশ উৎক্ষেপণ কার্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

পদোন্নতি পাওয়া সব কমান্ডার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের ব্যাপারে তাঁদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। ইরানজুড়ে এখন কেবল শোনা যাচ্ছে, ‘আপনারা যুদ্ধ শুরু করেছেন, আমরা শেষ করব।’

আরও পড়ুনআগেই ইরানে ঢুকে কীভাবে হামলার ক্ষেত্র গড়ে তুলেছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ১৪ জুন ২০২৫

এখন পর্যন্ত ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিসহ আবাসিক ভবনে আঘাত হেনেছে। হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইরানের তেল ও গ্যাস সংস্থা, পেট্রোকেমিক্যাল, স্টিল ও অটোমোবাইল কারখানা এবং বিভিন্ন আবাসিক ভবনগুলোতে ইসরায়েলের আক্রমণের জবাব দিতে তেহরান রোববার ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলের শক্তি অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।

ইরান বলেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ২৫ শিশুসহ ২২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। রোববারও তেহরানজুড়ে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

আরও পড়ুনখামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প৯ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সশস ত র ব হ ন ইসর য় ল র ব আইআরজ স র কম ন ড র কর ছ ন ন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স