‘যুদ্ধবিরতির চেয়ে ভালো কিছু’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ট্রাম্প
Published: 17th, June 2025 GMT
এয়ারফোর্স ওয়ান কানাডা ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজে অবস্থানরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, কেবল ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার জন্য তিনি ওয়াশিংটনে ফিরে যাচ্ছেন না। তিনি এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু চান। তিনি ‘যুদ্ধবিরতির চেয়ে ভালো কিছু’ চান।
এর অর্থ কী, তা খোলসা করার জন্য চাপাচাপি করলেও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘একটি সত্যিকার সমাপ্তি’। এর একটি হতে পারে ইরানের পক্ষ থেকে ‘সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা’। ট্রাম্প তাঁর এই অবস্থানে অনড় যে ইরানকে পুরোপুরি তার পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করতে হবে।
অবশ্য তার জন্য আরও আলোচনা দরকার। পরবর্তীকালে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, তিনি এখন সমঝোতা আলোচনা চালানোর মতো মেজাজে নেই।
এয়ারফোর্স ওয়ান ওয়াশিংটনে অবতরণের পর ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ইরানের উচিত ছিল ইসরায়েলে হামলা শুরু করার আগে তিনি যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেই চুক্তি মেনে নেওয়া।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। সেখানে আজ সকালেই তিনি তাঁর নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আগেই জানিয়েছেন।
সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে এখনো অনেক সংশয় রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন
কিশোরগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়। সখিনা বেগমের বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
তাঁর ভাগনি ফাইরুন্নেছা আক্তার বলেন, নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সখিনা বেগম। তিনি নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগেই তাঁর স্বামী কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর সখিনা বেগম সশস্ত্র যুদ্ধে নামেন। নিকলীতে তাঁকে দেখভাল করার কেউ না থাকায় বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়ার বড়মাইপাড়া এলাকায় ভাগনি ফাইরুন্নেছার সঙ্গে থাকতেন।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা মজুমদার মুক্তি জানান, বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগমকে গুরুই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি বইয়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে সখিনা বেগমের ভাগনে মতিউর রহমান সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের হাতে শহীদ হন। ওই সময় সখিনা গুরুই এলাকায় বসু বাহিনীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন। কাজের ফাঁকে রাজাকারদের গতিবিধির বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের জানাতেন। এক পর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ধারালো দা দিয়ে নিকলীর পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেন সখিনা বেগম। ওই দা ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষিত।