সূর্যের তাপ, ধুলাবালি ও প্রতিদিনের ব্যস্ততার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত আমাদের ত্বক। এই অবহেলার ফলে ত্বকের স্থায়ী ও গভীর ক্ষতি হতে পারে। অথচ ত্বকই আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে রক্ষা করে। তাই ত্বকের সুস্থতা রক্ষায় প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন ও সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন। ত্বকের এমন প্রয়োজন বুঝেই প্রায় দেড়শ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে ভ্যাসলিন। ত্বকের যত্ন কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সবার অধিকার– এ বিশ্বাস থেকে যুগান্তকারী পণ্য ভ্যাসলিনের জন্ম।
১৮৭০ সালে রবার্ট চেসব্রোর হাত ধরে একটি ছোট জার ‘ওয়ান্ডার জেলি’ দিয়ে শুরু হওয়া এই যাত্রা এখন একটি বৈশ্বিক নাম। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈনিকদের ত্বকের যত্ন থেকে শুরু করে আজকের আধুনিক স্কিন কেয়ার পণ্য– প্রতিটি ধাপে ভ্যাসলিনের রয়েছে এক অনন্য ইতিহাস। চিকিৎসকদের ‘ফার্স্ট এইড’ হিসেবে ব্যবহৃত এই পেট্রোলিয়াম জেলির ত্বকের ধরন অনুযায়ী রয়েছে বিভিন্ন লোশন ফর্মুলা; যা ত্বকের যত্নে আনে বৈচিত্র্য ও বিজ্ঞানসম্মত সমাধান।
বাংলাদেশে ১৯৬০ দশকে যাত্রা শুরু করে ভ্যাসলিন এবং নব্বইয়ের দশকে বাজারে আসে ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি ও লোশন। শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা, ফাটা ঠোঁট কিংবা গোড়ালির যত্নে ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি এক অদ্বিতীয় নাম। শুধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করেই থেমে নেই, এটি ত্বকের স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে।
ভ্যাসলিন শুধু জেলি নয়, ভ্যাসলিন ডিপ রিস্টোর, ডেইলি ব্রাইটেনিং ও অ্যালো ফ্রেশ– এ রকম তিনটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে; যা ত্বককে রাখে কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল। ত্বকের যত্নে লোশন শুধু শীতকালেই নয়, ভ্যাসলিন সারাবছর ব্যবহারযোগ্য পণ্য। সারাবছর ব্যবহারের জন্য ভ্যাসলিন এনেছে তার নতুন উদ্ভাবন গ্লুটা হায়া, যার ডিউয়ি রেডিয়েন্স ও ফ্ললেস গ্লো ভ্যারিয়েন্ট ত্বককে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও দীপ্তি। ময়েশ্চার ধরে রেখে ত্বকের সজীবতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে এটি। ডিউয়ি রেডিয়েন্সের নায়াসিনামাইড ও ফ্ললেস গ্লোর প্রো রেটানল ত্বককে দেয় ন্যাচারাল গ্লো। এ ছাড়াও প্রথম ব্যবহার থেকে উজ্জ্বল ত্বককে দৃশ্যমান করে।
ভ্যাসলিনের কার্যকারিতা শুধু দৈনন্দিন ব্যবহারেই সীমাবদ্ধ নয়। হজযাত্রার মতো বিশেষ পরিবেশেও এটি রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ধুলাবালি, দীর্ঘ হাঁটা ও গরমে পা ফাটা বা র্যাশ প্রতিরোধে এটি প্রমাণ করেছে– এটি একটি কার্যকরী সমাধান।
অন্যদিকে পরিবেশের প্রতিও দায়িত্বশীল এ ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে রিসাইকেলযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবহার শুরু করেছে। ২০২৪ সাল থেকে ভ্যাসলিনের সব পাম্প বোতল ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদানে তৈরি হচ্ছে; যা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ।
১৫০ বছরের এই অসাধারণ পথচলায় ভ্যাসলিন শুধু একটি স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড নয়, হয়ে উঠেছে প্রত্যেক পরিবারের আস্থা ও পরিচর্যার অংশ। এটি শুধুই একটি স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড নয়, বরং সহানুভূতির এক শক্তিশালী প্রতীক। প্রতিটি শীতে, প্রতিটি কঠিন সময়েও এটি মানুষকে দিয়েছে সুরক্ষা, ভালোবাসা আর মমতার স্পর্শ। ত্বকের প্রতি এ ভালোবাসা এবং যত্নের ঐতিহ্য নিয়ে ভ্যাসলিন এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতের আরও উদ্ভাবনের পথে। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত বক র স ব যবহ র ত বকক
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।
এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে, এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ঢাকা/এনটি/ইভা