কারামুক্ত হলেন গান বাংলা টেলিভিশনের তাপস
Published: 18th, June 2025 GMT
গানবাংলা টেলিভিশনের চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ৩ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) জান্নাত–উল ফরহাদ সমকালকে বলেন, জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। কৌশিক হোসেন তাপস মামলায় ৯ নম্বর আসামি। এই মামলায় উত্তরা এলাকা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে উত্তরার আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে কর্মসূচিতে অংশ নেন ভুক্তভোগী। সেখানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ এজাহারভুক্ত আসামিরা ব্যাপক দাঙ্গা–হাঙ্গামা সৃষ্টি, অতর্কিত হামলা, মারধর এবং গুলি করেন। তখন আসামিদের ছোড়া গুলি ইশতিয়াক মাহমুদের পেটে, পিঠে, হাতে ও মাথায় লাগে। এভারকেয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে গুলি বের করা হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর বিশ্ববরেণ্য ইসলামী বক্তা ড. জাকির নায়েককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৩ নভেম্বর) এ দাবিতে ঢাবি উপ-উপাচার্যের (প্রশাসন) কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। স্মারকলিপি প্রদান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথা জানান তারা।
আরো পড়ুন:
বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ড. জাকির নায়েক একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসলামী চিন্তাবিদ ও মানবতাবাদী সংগঠক। তিনি শুধু ইসলাম প্রচারই করেননি, বরং মানবকল্যাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড এইড’ নামের সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো শিক্ষার্থী বৃত্তি ও সহযোগিতা পাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি বিশ্বমঞ্চে মানবতার প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তারা বলেন, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকারের ষড়যন্ত্রে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হলেও মালয়েশিয়া তাকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এমন একজন মানবতাবাদী ও জ্ঞানচর্চার প্রতীক ব্যক্তিত্বকে যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করে, তাহলে তা দেশের মর্যাদাকে আরো উজ্জ্বল করবে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে ড. জাকির নায়েককে ডিগ্রি প্রদান করে দাবি জানান।
এছাড়া তারা ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বুলিং, হ্যারাসমেন্ট ও ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানচর্চার স্থানে নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ ও অনলাইন বুলিং উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় জেনেছি, ইতোমধ্যেই হ্যারাসমেন্ট ও সাইবার ট্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এসব কমিটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে, যাতে অপরাধীরা শাস্তির আওতায় আসে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী