কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মর্মান্তিক ও নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. হোসেইনকে (১৩) রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বিষপান করিয়ে এবং অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। 

বুধবার (১৮ জুন) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই কিশোর। নিহত হোসেইন উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। সে শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

স্থানীয় সূত্র ও পারিবারিক দাবি অনুযায়ী, দুই মাস আগে শিকারপুর গ্রামের মইনুল হোসেনের মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বসে। সালিশে অভিযুক্ত সাইমুন নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে চুরির প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রামের সালিশে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সালিশে সাক্ষ্য দেন হোসেইনের বাবা আবু তাহের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠে সাইমুন।

হোসেইনের বাবা আবু তাহের বলেন, “৩১ মে আমার ছেলেকে রাস্তা থেকে তুলে নেয় সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিন। পরে জোর করে তাকে বিষপান করায় এবং তার অণ্ডকোষে এসিড ঢেলে দেয়। ছেলেটা কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছে। শেষ পর্যন্ত আর বাঁচল না।”

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা.

অরূপ কুমার রায় বলেন, “শিশুটির গলা ফুলে গিয়েছিল, সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তার অণ্ডকোষ পুড়ে গিয়েছিল। অবস্থা ছিল অত্যন্ত জটিল।”

এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা করেছেন। আসামি করা হয়েছে সাইমুন ও তার ভাই আলাউদ্দিনকে। 

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, “আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/রুবেল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে: সালাম 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে। বিএনপি জনগণের ওপর নির্ভরশীল একটি দল। বিএনপির এতো নেতাকর্মীকে জেলে নিয়েছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করেছে তারপরও বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে থাকার চেষ্টা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুস সালাম বলেন, শেখ হাসিনার বাবা এক সময় বাংলাদেশের রাজনীতিকে মাটির নিচে পাঠিয়ে দিয়েছিলো আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্সে। এক দল বাকশাল করেছিলো, শেখ হাসিনা অঘোষিত বাকশাল করেছিলেন যেনো এ দেশে কোন গণতন্ত্র না থাকে। কেউ কথা বলতে পারবে না, কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। উনি যাই বলবে; তাই হবে। উনি বুক ফুলিয়ে বলেছেন, এ দেশে একটা বিরোধী দল পাইলাম না। অর্থাৎ বিরোধী দলটা উনি বানাতে চায়। সরকার উনি নিজেই, আর বিরোধী দল তার মন মতো হবে। আমরা ওই গণতন্ত্র বিশ্বাস করি না। এ কারণে এখনও আমরা বলি, সব রাজনীতি সবাই করুক আর মানুষ ঠিক করবে কে ক্ষমতায় যাবে আর কে যাবে না। 

তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলে হাসিনার মতো, বিএনপি খালি ভোট ভোট করে। খালি নির্বাচনের কথা বলে। আমরাতো নির্বাচনের কথাই বলবো। আমরাতো ভোটের কথাই বলবো। কারণ, পাঁচ বছরে একবার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়। এই ভোটের অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছিলো। এই ভোট দরকার ছিলো না শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার দরকার ছিলো ভারতের। ভারত তাকে রক্ষা করবে, ভারত তাকে ক্ষমতায় আনবে এবং আজীবন তাকে পুষে বড় করবে। দেশ আমার আপনার, আর ভারত ঠিক করতে এইটা আমরা আগেও মানিনি এখনও মানি না।

সম্মেলনে চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুল হক ফাহির সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী এশা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ