ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী বুধবার রাতে ইরানের নাতাঞ্জ শহরে একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যেটি তাদের ভাষ্যমতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতো। 

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, এই স্থাপনায় এমন বিশেষ যন্ত্রাংশ ও উপকরণ রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয়। সেখানে এমন প্রকল্প চলছে যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। খবর-বিবিসি

নাতাঞ্জে এর আগেও হামলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বৈশ্বিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, ইরানের ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে থাকা সেন্ট্রিফিউজগুলো পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও সম্ভবত ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’। ইসরায়েলের গত শুক্রবারের হামলার পর এ কথা জানান তিনি।

ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান সম্প্রতি তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদকে ‘অস্ত্র তৈরির পথে’ নিয়ে যাচ্ছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন বা পারমাণবিক বোমা দুটোর জন্যই ব্যবহৃত হতে পারে।

রোববার, ইরান আবার জানিয়েছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যের জন্য। ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ৩৫ জাতির বোর্ডকে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ার খানাবাড়ি এলাকায় আল আমিন (৪০) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ৯টার দিকে তাঁকে গলা কেটে রাস্তার ওপর ফেলে যায় তারা।

নিহত আল আমিনের বাড়ি দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দিঘির পূর্বপাড় এলাকায়। তিনি ইজারা নিয়ে মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া খানাবাড়ি সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন আল আমিন। পথিমধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আল আমিনের মরদের পাশে মোটরসাইকেল পড়ে ছিল।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। কিছুদিন আগে তিনি কারাগার থেকে বের হন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। রাতেই খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ