সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি: মেসির সঙ্গে আছেন এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতও
Published: 19th, June 2025 GMT
২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল অর্থনীতি আমূল বদলে গেছে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে টিকিট বিক্রিও।
প্রত্যাশিতভাবে মেসির জার্সিও বিক্রির শীর্ষে। সব মিলিয়ে টানা তিন মৌসুম আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের জার্সি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। গত রাতে এমএলএসের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এমএলএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ মৌসুমে ১ জানুয়ারি থেকে ১ মে পর্যন্ত লিগটিতে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে মেসির জার্সি সবচেয়ে বেশি কিনেছেন ভক্তরা। এ সময়ে এমএলএস স্টোর থেকে বিক্রি হওয়া জার্সির ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করেছে ক্রীড়াসামগ্রীর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ফ্যানাটিকস।
আরও পড়ুনকী উপহার পেয়ে এভাবে হাসছেন মেসি, কে দিলেন উপহার১৭ জুন ২০২৫এ মৌসুমে মেসির পর সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রি হয়েছে তাঁর সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের। শীর্ষ বিশে এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারও আছেন। তিনি কাভান সুলিভান। ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের ১৫ বয়সী এই মিডফিল্ডার সবচেয়ে বেশি জার্সি বিক্রির তালিকায় ১৮তম।
লিওনেল মেসির সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার কাভান সুলিভান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেসি গোল করেছেন, তবে জেতেনি মায়ামি
ইন্টার মায়ামি কখনো মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) প্লে–অফ কনফারেন্স সেমিফাইনালে ওঠেনি। আজ লিওনেল মেসিদের সামনে ছিল সেই সুযোগ। কিন্তু নাশভিলের মাঠ জিওডিস পার্কে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি মায়ামি। ম্যাচের ৯০ মিনিটে মেসি গোল করলেও তার আগে দুই গোল হজম করে ইন্টার মায়ামি হেরেছে ২-১ ব্যবধানে।
এই হারের পরও অবশ্য মায়ামির কনফারেন্স সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৮ নভেম্বর আবারও মুখোমুখি হবে মায়ামি-নাশভিল। সে ম্যাচের জয়ী দল পরের ধাপে উঠবে।
জিওডিস পার্কের ম্যাচটিতে মায়ামি গোল হজম করেছে ৯ ও ৪৫ মিনিটে। এর মধ্যে ৯ মিনিটে স্যাম সারিজের গোলটি ছিল পেনাল্টি থেকে। মায়ামি গোলকিপার রোকো রিওস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
তবে ম্যাচ শেষে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো, ‘পেনাল্টিটা আমাদের একটা ধাক্কা দিয়েছে। কারণ, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ভালো খেলছিলাম। আমার মনে হয় সিদ্ধান্তটা বিতর্কিত। রেফারিং নিয়ে কথা বলা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু এখন বলতে হচ্ছে পেনাল্টির সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভিএআরে না যাওয়াটা অদ্ভুত লেগেছে।’ প্রথমার্ধের শেষ দিনে নাশভিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন জশ বাউয়ের।
ম্যাচের শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মায়ামি। আর তাতেই ৯০ মিনিটে বক্সে ঢুকেই কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেসি। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোলের চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নাশভিলের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মায়ামিকে মাঠ ছাড়তে হয় হার নিয়ে।
এমএলএস প্লে-অফে প্রথম রাউন্ডের খেলা হয় ‘বেস্ট অব থ্রি–সিরিজ’ হিসেবে। এর মধ্যে প্রথম দুটি ম্যাচ একই দল জিতে গেলে তৃতীয় ম্যাচ খেলার দরকার পড়ে না। ইন্টার মায়ামি প্রথম ম্যাচ ৩-১ গোলে জেতায় আজই কনফারেন্স সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাশভিল জেতায় প্রথম রাউন্ডের মীমাংসা গড়াল তৃতীয় ম্যাচে। যে ম্যাচটি হবে ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে।