ফিলিস্তিন ও ইরানসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।

সংঠনটি ইসরাইলের আগ্রাসন মোকাবিলায় ফিলিস্তিন ও ইরানকে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও সৈন্য দিয়ে সহযোগিতা করতে সব মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এবারো দেশসেরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বিগত সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে: আব্দুল মঈন খান

বিক্ষোভে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইয়েদ কুতুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পাকিস্তানি ছাত্র মোহাম্মদ তাহের, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার আহ্বায়ক রাকিব মণ্ডল প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার সদস্য সচিব মো.

জিনাত হোসেন, সদস্য মো. শাকিল, মাসুম বিল্লাহ, আবদুর রহমান ও শাহিনুর রহমান প্রমুখ।

মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “৭০ বছর ধরে অবৈধভাবে ফিলিস্তিন দখল করে রাখার ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার পর ইরানে মুসলিমবিরোধী আগ্রাসন শুরু হয়েছে। তাই অস্তিত্বের স্বার্থে বাংলাদেশের মুসলমান, আমেরিকার মুসলমান, জাপানের মুসলমান, সৌদি আরবের মুসলমান, আফ্রিকার মুসলমানসহ গোটা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল মুসলমান যদি এক ও অভিন্ন সত্তা হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারি তাহলে আমরা হামলা ও আগ্রাসন থেকে বাঁচতে পারব না।”

এ সময় নিপীড়িত আক্রান্ত মুসলমানদের রক্ষায় জাতিসংঘের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা যদি মনে করি জাতিসংঘ মুসলমানদের রক্ষা করবে তাহলে আমরা ভুলের মধ্যে থাকব। কারণ জাতিসংঘে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা কোন মুসলিম রাষ্ট্রের নেই। যখনই জাতিসংঘে মুসলিম বিরোধী ইসরায়েলি ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হয় তখনই যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে ভেটো দেয়। দেখা গেছে, মানবতা বিরোধী অপরাধের পক্ষে, জায়নবাদের পক্ষে ও মুসলিম উম্মাহর বিপক্ষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করা হয়েছে।”

বিক্ষোভ শেষে ইসরাইল বিরোধী একটি মিছিল কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও কলাভবন হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে শেষ হয়।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম সলম ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের। 
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।

পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।

রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ