রাজধানীর ফকিরাপুলে মাদক কারবারিদের গুলিতে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগের এএসআই (সহকারী উপপরিদর্শক) আতিক হাসান ও কনস্টেবল মো.

সুজনের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিবি পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বিপরীতে ফকিরাপুল মোড়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ইয়াবা বেচাকেনার মধ্যস্থতাকারী আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ডিবির ভাষ্য, একটি পক্ষ ব্যাগে করে ইয়াবা এনে প্রাইভেট কারে আসা আরেক পক্ষের কাছে হস্তান্তর করছিল। ওই মুহূর্তে অভিযান চালিয়ে ব্যাগটি জব্দ করে পুলিশ।

ডিবি সূত্র জানায়, ইয়াবা হস্তান্তরের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেট কার জব্দের চেষ্টা করা হলে চালক দ্রুতগতিতে গাড়িটি প্রায় ৬০০ গজ দূরে নিয়ে যান। পরে সেটি থামিয়ে চাবি জব্দ করেন ডিবি সদস্যরা। এ সময় প্রাইভেট কারের আরোহী ও ইয়াবা বহনকারীরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে পালানোর চেষ্টা করেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা ডিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ডিবির সহকারী কমিশনার এনায়েত কবিরের ডান হাতের আঙুলে গুলি লাগে। এ ছাড়া আহত হন এএসআই আতিক হাসান ও কনস্টেবল মো. সুজন।

গুলিবিদ্ধ ও আহত অবস্থায় ডিবি সদস্যরা অটোরিকশাটিকে ধাওয়া করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর সেটি উল্টে গেলে ডিবি সদস্যরা মাদক কারবারি আবদুল আজিজ (৩৮) ও হৃদয় সরকার ওরফে আশিককে (৩৫) আটক করেন। তবে তাঁদের সঙ্গে থাকা আরও দুজন পালিয়ে যান।

গুলিবিদ্ধ কর্মকর্তা এনায়েত কবিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল আহসান ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া।

এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জোহরা বেগম (৪৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। গতকাল বিকেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় মাজম আলীসহ কয়েকজন পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা কেনাবেচা করছিলেন। তখন দলটি অভিযানে গেলে আসামির স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে ওই এএসআই ও কনস্টেবল আহত হন। আসামির স্বজনদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওমর ফারুক ও শাহীন মিয়া।

পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার পর গত রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে হাবিবুর ও জোহরাকে আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চকরিয়া থানার ওসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • গোপালগঞ্জে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১
  • শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩