ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ হলেও চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, এগুলো মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, এ ধরনের স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা চেরনোবিল বা ফুকুশিমার মতো ভয়াবহ ‘পারমাণবিক দুর্ঘটনা’ ঘটানোর ঝুঁকি তৈরি করে না। এর কারণ হলো সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে কোনো পারমাণবিক বিক্রিয়া (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন) ঘটে না। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিঅ্যাক্টরে ইউরেনিয়ামের পরমাণু বিভাজিত হয়ে ফিশন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে এবং তাতে তৈরি হয় অতিরিক্ত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য।

অন্যদিকে, সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো শুধু ইউরেনিয়ামকে জ্বালানি হিসেবে প্রস্তুত করে, সেখানে শক্তি উৎপাদনের কোনো প্রক্রিয়া চলে না। 

ব্যাঙ্গোর বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক উপাদান বিশেষজ্ঞ সায়মন মিডলবার্গ  বলেন, যদি কোনো সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় বোমা মারা হয়, তাহলে ভেতরের ইউরেনিয়াম পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এতে কোনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই। কাজেই এ ক্ষতি হবে স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ এবং একমাত্র আশপাশের একটি ছোট এলাকা ছাড়া কোনো বিস্তৃত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হবে না।

রয়টার্স জানায়, ইরানের ভূগর্ভে নির্মিত পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর আঘাত হানতে সক্ষম একমাত্র প্রচলিত অস্ত্র হচ্ছে মার্কিন ‘বাঙ্কার-ব্লাস্টার’ বোমা। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়লে সংঘাত পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই ইরানের সন্দেহভাজন পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনায় শক্তিশালী বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমা ফেলে, তাহলে এর পরিণতি কী হবে? 

বিকিরণ ঝুঁকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বোমা মাটির নিচের বাঙ্কার ধ্বংস করে ফেললেও এর ব্যাপক বিকিরণ দূষণের আশঙ্কা কম।

ইরানের ‘ফোরডো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্লান্ট’ নামের এই রহস্যময় স্থাপনা পাহাড়ের গুহায় নির্মিত এবং এখানে ইউরেনিয়াম আইসোটোপ প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এতে এখানে ইউরেনিয়াম সাধারণত ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুরাইড নামক গ্যাস আকারে থাকে।

এ গ্যাস অণু তুলনামূলক বড় ও ভারী হওয়ায় এটি অনেক দূরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম বলে জানান আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এমিলি ক্যাফ্রি। তিনি আরও বলেন, হামলার ফলে বিকিরণ বা দূষণ ওই স্থানেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর ন য় ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে জিসান-রাব্বী-তোফায়েল

দ্বিতীয়বারের মতো ‘টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ’ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এই প্রতিযোগিতার জন‌্য সোমবার ১৬ সদস‌্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন‌্য অধিনায়ক করা হয়েছে কাজী নুরুল হাসান সোহানকে। এই দলে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম, হাসান মাহমুদ। সবশেষ জাতীয় দলের স্কোয়াডে ছিলেন দুই ক্রিকেটার।

এছাড়া তরুণ ক্রিকেটারদের মধ‌্যে জিসান আলম, তোফায়েল আহমেদ, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বী, মুশফিক হাসান ও রিপন মন্ডলকেও রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ ‘এ’ দল আগামী ৭ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিবে। এই সিরিজে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নেবে পাকিস্তান শাহীনস (‘এ’ দল) ও নেপালের ‘এ’ দল। এছাড়া থাকবে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ স্কচার্স, নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইক, মেলবোর্ন স্টার্স ও অ‌্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।

৯ আগস্ট বাংলাদেশ দল ডারউইনে পৌঁছবে। ১৪ আগস্ট বাংলাদেশের প্রথম ম‌্যাচ পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে। এরপর ১৬ আগস্ট খেলবে নেপালের বিপক্ষে। ১৭, ১৯, ২১, ২৩ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পার্থ স্কচার্স, নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইক, মেলবোর্ন স্টার্স ও অ‌্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। প্রতিটি ম‌্যাচ হবে ডারউইনে।

২৪ আগস্ট একই দিনে দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম‌্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার পর বাংলাদেশ ‘এ’ দল একটি চারদিনের ম‌্যাচ খেলবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ২৮ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ম‌্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।  

বাংলাদেশ ‘এ’ স্কোয়াড:
কাজী নুরুল হাসান সোহান, সাইফ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম, জিসান আলম, মাহিদুল ইসলাম ভূইয়া, ইয়াসির আলী চৌধুরী, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বী, নাঈম হাসান, মুশফিক হাসান, রিপন মন্ডল ও হাসান মাহমুদ।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ