র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের কিট শেষ হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে পরীক্ষা। 

অপরদিকে, খুলনার আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার কিট সরবরাহ নেই। শুধুমাত্র দাকোপ উপজেলায় কিট রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯টি উপজেলার কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি। এ তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা.

হিমেল ঘোষ।   

খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, করোনা পরীক্ষার কিট শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার পর থেকে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব বিকল থাকায় সেখানে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। 

আরো পড়ুন:

খুলনায় আরো এক নারীর করোনা শনাক্ত

খুলনায় অস্ত্র-গুলি ও মাদকসহ আটক ৫ 

তিনি জানান, জরুরিভাবে কিট চেয়ে কয়েক দফা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিট পাওয়া মাত্র পুনরায় করোনার পরীক্ষা শুরু হবে। আপাতত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. হারুন নামে এক রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো। তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেবেন। হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া আক্তার সুস্থ হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে করুনা বেগম নামে একজন ভর্তি আছেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ আসনে এম‌পি প্রার্থী বাছাই কর‌ছে ইসলামী আন্দোলন

আগামী নির্বাচ‌ন সাম‌নে রে‌খে সারা দেশে তিনশ আসনে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম শুরু ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। প্রার্থী বাছাই কর‌তে সারা‌ দে‌শ সফর কর‌ছে কেন্দ্রীয় টিম।

এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (২০ জুন) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৩টি আসনে প্রার্থী বাছাই উপলক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে।

‌দিনভর তৃণমূল নেতাকর্মীদের (পুরুষ ও মহিলা ইউনিট উভয়) থেকে ব্যালটের মাধ্যমে মতামত নেওয়া হয়। তা‌দের মতাম‌ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা কর‌বে।

যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন ঢাকা-৫ আসন, দুপুর ২টায় সূত্রাপুরে ঢাকা-৬ এবং সন্ধ্যা ৬টায় বাসাব খেলার মাঠে ঢাকা-৯ আসনের বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব এমএইচ মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম তার পৃথক ৩টি বক্তব্যে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ব্যাপকভাবে সাংগঠনিক দাওয়াতি কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, বিগত আমলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকে এখন দেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন কাঙ্খিত মুক্তির জন্য আদর্শিক পরিবর্তন চায়। আর ইসলামকে বিজয়ী করা ব্যাতিত দেশে স্থায়ী শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে না।

তি‌নি বলেন, “সন্ত্রাস, চাদাবাজ ও দখলদারমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ঢাকাবাসীকে ইসলাম ও মানবতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সব স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করতে হবে। ভবিষ্যতেও যাতে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতে না পারে সেজন্য ঢাকাবাসীসহ সর্বস্তরের দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ