Prothomalo:
2025-09-18@05:52:54 GMT

মত্ত দাদুরি ডাকে ডাহুকী

Published: 30th, June 2025 GMT

প্রতিবছর বর্ষাবাদল হবে আর কবিতা লিখতেই হবে—কী এমন আবশ্যকতা! আকাশ নীলনবঘন হোক, বৃষ্টি হোক, সেই বৃষ্টিদানা কচুপাতা থেকে গড়িয়ে পড়ুক না পড়ুক, এতে বিচলিত হতে হবে, কেন? বর্ষা আসে, আসুক, বর্ষাতি আছে, সমস্যা নেই তো! তবে কেন আজ কাউকে বিরহ-বাদক কালিদাস হতে হবে? কে জানালার ধারে বসে সারা দিন শুধু বৃষ্টি দেখতে দেখতে, বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে বা যাচ্ছে না কোথাও, ঘরেই বসে থাকছে, মেঘ ডাকছে বা ডাকছে না—কে তার ধার ধারে? বাল্যবেলার বৃষ্টির সঙ্গে বড়বেলার বৃষ্টির কোনো পার্থক্য কি আমরা ধরতে পারি? পারি বোধ হয়। ঘন বাদলের দিনে বোধ হয় আমরা আরও অনেক কিছুই পারি, যা পারি না বৃষ্টিহীনকালে! ‘আমরা’ বলতে আদতে কাদের কথা বলতে চাইছি আমি?

যারা বৃষ্টিকে ধরে রাখতে চাই, যারা বৃষ্টিকে জড়িয়ে রাখতে চাই, যারা বৃষ্টিকে জমিয়ে রাখতে চাই। কীভাবে চাই? ঝিরিঝিরি হাওয়ার শব্দ বা মেঘডম্বুরুও কবিতায় লিখে রাখতে চাই। রাখলে কী হয় বা কেন রাখতে চাই, এ দায়িত্ব আমাদের দিলই–বা কে, সে তো অনেক কথা, সামান্যই বলতে পারি, যাতে যথা-উৎকর্ণের কাছে তা পৌঁছে যায়। আদতে প্রতিটি বৃষ্টিদানা কামধেনু হয়ে নেমে আসে, বিদ্ধ হয় রাইকিশোরী, রাজহংসীর মতো ডানা মেলে দেয়। প্রতিটি বৃষ্টিবিন্দু কানু হয়ে আসে, কানুই তো কবি। আর এ জন্যই এ মৌসুমে কবিতা জন্মায় বেশি। নব নব কানু কবিতার জনক হয়ে আসে। মৈথিলী বিদ্যাপতি কহেন, ‘ঝম্পি ঘন গর-জন্তি সন্ততি/ ভুবন ভরি বরিখন্তিয়া/ কান্ত পাহুন কাম দারুণ/ সখনে খর শর হন্তিয়া/ কুলিশ কত শত পাত মোদিত/ ময়ূর নাচত মাতিয়া/ মত্ত দাদুরি ডাকে ডাহুকী/ ফাটি যাওত ছাতিয়া.

..।’ রাইকিশোরীর হেন উতলা-কামনায় কানু কবিতা না লিখে পারে?

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যারা ছোট পর্দায় কাজ করি, সবারই লক্ষ্য থাকে বড় পর্দা: জোভান

ফারহান আহমেদ জোভান

সম্পর্কিত নিবন্ধ