নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বয়রাতলী এলাকায় গতকাল সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার জেল পলাতক আসামি মো. উজ্জ্বল ইসলাম ওরফে আবদুল্লাহ আল কাউসারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। উজ্জ্বল শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন।

অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, উজ্জ্বল গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় ছাত্রীর মা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি এখন শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। উজ্জ্বল ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে শেরপুর জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বয়রাতলী এলাকায়। জেল থেকে পালানোর পর তিনি শেরপুর ও নেত্রকোনার আশপাশের এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন বিকেলে দুর্বৃত্তরা শেরপুর জেলা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই সুযোগে কারাগারে থাকা ৫১৮ বন্দী পালিয়ে যান। এ সময় ওই কারাগার থেকে নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র (পাঁচটি চায়নিজ রাইফেল ও চারটি শটগান) লুট হয়। পরে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করে।

এদিকে গত বছরের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান ছিনতাইকারী রাসেল মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা। এর আট মাস পর গত ২৬ জুন ঝিনাইদহের মহেশপুরের জলিলপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার