৫ আগস্ট শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
Published: 1st, July 2025 GMT
নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বয়রাতলী এলাকায় গতকাল সোমবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার জেল পলাতক আসামি মো. উজ্জ্বল ইসলাম ওরফে আবদুল্লাহ আল কাউসারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। উজ্জ্বল শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়েছিলেন।
অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, উজ্জ্বল গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় ছাত্রীর মা শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। মামলাটি এখন শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। উজ্জ্বল ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে শেরপুর জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার বয়রাতলী এলাকায়। জেল থেকে পালানোর পর তিনি শেরপুর ও নেত্রকোনার আশপাশের এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের দিন বিকেলে দুর্বৃত্তরা শেরপুর জেলা কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। ওই সুযোগে কারাগারে থাকা ৫১৮ বন্দী পালিয়ে যান। এ সময় ওই কারাগার থেকে নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র (পাঁচটি চায়নিজ রাইফেল ও চারটি শটগান) লুট হয়। পরে সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করে।
এদিকে গত বছরের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান ছিনতাইকারী রাসেল মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা। এর আট মাস পর গত ২৬ জুন ঝিনাইদহের মহেশপুরের জলিলপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলে অপহরণকারীর কাছ থেকে বাঁচল কিশোর
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে স্কুলছাত্র সাহেদ আহম্মেদ সিয়ামকে। অনেকটা পথ অতিক্রম করার পর অপহরণকারীদের একজন গাড়ি থেকে নামেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড় শুরু করে সিয়াম। আশ্রয় নেন একটি বাড়িতে।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহের আমতলা বাজার এলাকা থেকে সিয়ামকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিয়ামকে অপহরণ করা হয়।
সিয়াম মাগুরার মহম্মদপুর থানার কাওড়া গ্রামের সাইফুদ্দিন শামিমের ছেলে। সে বিনোদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে একটি কেন্দ্রে ভুল সেটে পরীক্ষা গ্রহণ
চাকসু নির্বাচনসহ ৭ দাবিতে চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন
ভুক্তভোগী সিয়াম ও তার চাচা শায়েখউদ্দিন সোহান জানান, সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে নাম না জানা ব্যক্তিরা সিয়ামকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অনেকটা পথ যাওয়ার পর সিয়ামকে গাড়িতে রেখে অপহরণকারীদের একজন প্রস্রাব করতে নামেন। এসময় সিয়াম কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়াতে শুরু করে।
অপহরণকারীরা ধরার চেষ্টা করলে সিয়াম ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ সদরের আমতলা বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়িরটির লোকজন সিয়ামের কাছ থেকে তার চাচার নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করেন।
ছেলের অবস্থান জানতে পেরে সিয়ামের পরিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় যোগাযোগ করেন। বিকেল ৫টার দিকে সদর থানা পুলিশের একটি টিম সিয়ামকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
ভুক্তভোগী সিয়ামের বাবা সাইফুদ্দিন শামিম বলেন, “এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করব। তাদের ঘটনার সব তথ্য জানানো হয়েছে।”
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র সিয়ামকে উদ্ধার করেছে। তাকে তার বাবা ও চাচার হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর স্বজনরা মহম্মদপুর থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ