স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
Published: 1st, July 2025 GMT
রাজশাহীতে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে শাহাদাৎ হোসেন ওরফে বুলবুল (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (৩০ জুন) রাতে রাজশাহী নগরের আলুপট্টি এলাকায় এ অভিযান চালায় র্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার যুবকের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চাঁদপুর কাকড়ামারী গ্রামে। স্কুলে যাতায়াতের পথে সে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করত। গত ২৫ জুন স্কুলে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বুলবুল।
পরবর্তীতে রাজশাহী নগরের টিকাপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। এ নিয়ে চারঘাট থানায় মামলা করে পরিবার।
মামলার পর থেকেই ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিল র্যাব। সোমবার রাতে নগরের আলুপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তাদের চারঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা পুলিশের সহায়তায় আপন ঠিকানায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী
নারায়নগঞ্জের জেলার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় আমেনা বেগম (৩৮) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী ফিরে গেলো তার আপন ঠিকানায়।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে উদ্ধার মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার লনেস্বর গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা বাজার এলাকায় অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকা মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে ঘিরে লোকজনের ভীড় উপস্থিতি দেখতে পেয়ে এগিয়ে যায় পুলিশ।
নারীটির আচরন ও কথাবার্তা শুনে মানসিক প্রতিবন্ধী মনে হওয়ায় তাকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিবন্ধী নারীর বিচ্ছিন্নভাবে প্রদত্ত তথ্যের সমন্বয়ে থানা পুলিশ ধারণা করেন যে তার বাড়ী কুমিল্লা জেলার কোন এক জায়গায়।
মঙ্গলবার সকালে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে তার বাড়ী এবং পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।পরবর্তীতে পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে
ঐ নারীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। পরে কুমিল্লা থেকে বিকেল ৪ টার ঐ নারীর ভাই সহ পরিবারের অপর সদস্যরা থানায় এলে মানসিক প্রতিবন্ধী নারী আমেনা বেগম কে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তুলে দেয়।
আমেনা বেগমের ভাই মোঃ মানিক জানায়,তার বোন মানসিক রুগী। বোন জামাই প্রবাসী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে নিজ বাসা থেকে পরিবারের সকলের অগোচরে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তারা তাকে খুঁজে পেতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ ও করতেছিলো।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের কে মোবাইল ফোনে ফোন করে তার বোনকে পাওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে চারটার দিকে তারা ফতুল্লা থানায় এসে তার বোনকে পায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গাজী শামীম জানান,নারীটি রাতে ঠিকমতো কিছু বলতে পারছিলোনা। সকালে তার সাথে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার ফলে বাসার ঠিকানা জানতে পারেন। তখন সেখানকার থানার সাথে যোগাযোগ করেন।
থানা থেকে স্থানীয় মহিলা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করেন। পরবর্তীতে ঐ মহিলার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে নারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ হয়। বিকেল চারটার দিকে ঐ নারীর পরিবারের সদস্যরা ফতুল্লা থানায় এলে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।