দেশের সাত অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজস্রহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আজ আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময়ের মধ্যে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে, এ সময়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯০ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ৩ মিলিমিটার। আর গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হলে কঠোর ব্যবস্থা’
ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘‘কোনো দুর্বৃত্ত যদি ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষতি করে কিংবা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, তাহলে রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’’
বুধবার (২ জুলাই) কক্সবাজার শহরের কৃষ্ণানন্দধাম মন্দিরে ‘মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের’ পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এই দেশ সব ধর্মের মানুষের, দেশের উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও ভালোবাসার মতো মূল্যবোধ সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।’’
এর আগে, ধর্ম উপদেষ্টা মন্দিরে পৌঁছালে মন্দির কর্তৃপক্ষ তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি ও ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়। পরে তিনি মন্দিরভিত্তিক শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টি পরিমল কান্তি শীল, ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রনজিত বাড়ৈ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তীসহ হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে উপদেষ্টা কক্সবাজারের আরো কয়েকটি মন্দির ও শিক্ষা কার্যক্রম কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব