দামুড়হুদায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
Published: 3rd, July 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যুৎ সংযোগকৃত মেশিনে বিচালী কাটার সময় এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই ভাই আক্তারুজ্জামান (৫০) ও আলম হোসেন (৪০)। তারা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের পুরাতন বাস্তুপুর গ্রামের মৃত ইছাহক আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই বিকেলে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগকৃত মেশিনে বিচালী কাটাছিলেন বড় ভাই আক্তারুজ্জামান। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। বড় ভাই আক্তারুজ্জামানকে উদ্ধার করতে এসে ছোট ভাই আলম হোসেনও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন। পরিবারের লোকজন আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র জানান, ঘটনাটি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে শুনেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে যদি সাহায্য সহযোগিতার আবেদন করে উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়াবা লুটের অভিযোগ: বিএনপির তিন নেতার পদ স্থগিত
কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবা লুটের ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও শ্রমিক দলের তিন নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. নুরুল কবির, রাজারকুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দানু মিয়া ও রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাবু সমকালকে বলেন, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে স্ব স্ব সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনজনের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি।
পোস্টে সেলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল রামু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। কারণ, সম্প্রতি ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক রোষানলের শিকার হয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যা দিন দিন আমাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। তাই আমি এ সিদ্ধান্ত নিলাম। সুখে থাক প্রাণের সংগঠন ছাত্রদল, ভালো থাকুক সুবিধাবাদীরা।’
তবে তিনি ইয়াবা লুটে নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেন, স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
জানা যায়, কক্সবাজারের রামুতে ৩০ হাজার ইয়াবা লুটের একটি ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রদল নেতা সানাউল্লাহ সেলিমের নেতৃত্বে ইয়াবার চালানটি লুট করা হয়। লুট করা ইয়াবা বিক্রির ২৮ লাখ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপির ২৩ নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালানটি আনা হচ্ছিল। এটির গন্তব্য ছিল রামু উপজেলা সদরের মন্ডল পাড়ার বাসিন্দা মনিরের বাড়ি। তবে রাস্তায় রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জেগানা এলাকায় চালানটি লুট হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চালানটি প্রথমে স্থানীয় কাট্টাইল্যা পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। ৩০ হাজার ইয়াবার বাজার মূল্য অনেক বেশি হলেও মাত্র ২৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে ২৩ জনের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়েছে। ভাগে ছাত্রদল আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সেলিম একাই ১০ লাখ এবং অন্যান্য দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ৮-১০ হাজার থেকে ২-৩ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের তিন নেতার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, ইয়াবার চালান লুটের ঘটনাটি শুনেছি, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।