‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ও ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এখন থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালন বাধ্যতামূলক—এমন নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজগুলোকে নির্ধারিত তারিখে দিবস দুটির আনুষ্ঠানিকতা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো.

খালিদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

মাউশির জারি করা আদেশে বলা হয়, এ সংক্রান্ত চিঠি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, সরকার প্রতি বছর ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস (সাধারণ ছুটিসহ) ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর সূত্রোক্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সরকার প্রতি বছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ জুলাই শহীদ দিবস হিসেবে পালনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি ঘোষিত ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। পরে বিভিন্ন পক্ষ থেকে আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে সিদ্ধান্তটি বাতিল করে সরকার।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই যে অভ্যুত্থান, এই অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ আহ্বায়ক হয়েছেন, হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন, কীসের জন্য? একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য। যে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে। যে বাংলাদেশে কথা বলতে গেলে পুলিশ আপনাকে বাধা দেবে না, আপনি মত প্রকাশ করতে গেলে পুলিশ আপনার ওপর লাঠিচার্জ করবে না, গুলি করবে না। আপনি কথা বলতে চাইলে কথা বলবেন। প্রতিবাদ করবেন। এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের প্রতিবাদ শিখিয়েছে। আপনারা যে কথা বলবেন, নির্ভয়ে বলবেন। 

তিনি বলেন, আমাদের যে ভয় ছিল; ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সেই ভয় কেটে গেছে। নতুন করে আর কোনও ভয়ের সংস্কৃতি এই দেশে গড়ে উঠতে দেবো না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদেরা রক্ত দিয়েছে। আমরা রাজপথে নেমেছি, প্রয়োজনে আমরা আবারও রক্ত দেবো। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা কর্মসূচি পালনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য এক দলকে সরিয়ে আর একদলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি, গণঅভ্যুত্থান করেনি। এই নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বের আর কোনও সুযোগ দেবো না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যে ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরবো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি চালিয়েছিল, হামলা করেছিল, সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখনও বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র করছে, ভারতে বসে তারা ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি রংপুর বিভাগের দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে গাইবান্ধা অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধাবাসী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই। সেজন্য আমরা নতুন দেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, রাজপথে নেমেছি। ২০২৪ সালে আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলাম, এখন উৎখাত হয়েছে, পতন হয়েছে, কিন্তু নতুন দেশ এখনও গঠন হয়নি। 

এসময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব,  যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আবু সাঈদ লিয়ন, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবসসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শুরুর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হন। পরে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক হয়ে রংপুরে ফিরে যান তারা। 

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জে অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এলে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এনসিপির স্থানীয় নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ
  • দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, চুল কেটে থানায় হস্তান্তর
  • ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’. সাধারণ ছুটি ঘোষণা
  • রাষ্ট্র সংস্কার না হ‌লে দেশ অন্ধকারে ঢেকে যাবে: এবি পার্টি
  • ‘যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, আমি সত্যি তাদের জন্য দুঃখিত’
  • যতক্ষণ না দুঃখ প্রকাশ করছ, শান্তি পাবে না
  • বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরব: নাহিদ
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে: নাহিদ ইসলাম