‘ভাত খেতে ৪০০ কিলোমিটার— এটাই ছিল মান্না ভাই’
Published: 5th, July 2025 GMT
নায়ক মান্না— একটা নাম, একটা ইতিহাস। পর্দায় যেমন সাহসী, অফ স্ক্রিনেও তেমন প্রাণোচ্ছল। ঠিক এমনটাই মনে করেন বরেণ্য অভিনেতা জাহিদ হাসান। তার ভাষায়, ‘‘মান্না ভাই ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড।’’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত এই জনপ্রিয় নায়ককে নিয়ে আবেগভরা স্মৃতিচারণ করেছেন জাহিদ হাসান। জানিয়েছেন, কীভাবে এক সময়কার আলোচিত ও একনিষ্ঠ এই অভিনেতা তাকে জীবনের নানা মুহূর্তে ছুঁয়ে গিয়েছেন।
“একবার একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছিলাম। তখন বলেছিলাম— মান্না ভাই বাংলাদেশের পিয়ার্স ব্রসনান। তাকে দেখলেই আমার জেমস বন্ড মনে হতো। কথাটাও তাকে বলেছিলাম। হেসে বলেছিলেন, ‘তুই যা বলিস রে!’’—হাসিমুখে স্মরণ করেন জাহিদ হাসান।
জীবনের সেই স্মরণীয় সফরও উঠে আসে কথার ভাঁজে। লন্ডনের এক রাতে 'ভাত' খাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় মান্নার যে অভাবনীয় সিদ্ধান্ত, তাতে বিস্মিত হয়েছিলেন জাহিদ হাসান।
“তিন-চার দিন হলো ফাস্ট ফুড খেয়ে চলছি। হঠাৎ রাতের বেলা মান্না ভাই বললেন, ভাইজান, একটু আসেন তো। গিয়ে দেখি উনি একেবারে সিরিয়াস— ভাত খেতে হবে, মাছ দিয়ে ভাত! বললেন, এখানে একটা জায়গা আছে। তারপর আমরা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলাম শুধু ভাত খাওয়ার জন্য! আমি তো অবাক। বললাম, মান্না ভাই এটা কোনো কথা? উনি বললেন, তুই বুঝবি না, ভাত খাব তো।”
এই ঘটনার কথা স্মরণ করে জাহিদ হাসান বলেন, “এই হলো মান্না ভাই— একজন প্রাণোচ্ছল, রসিক ও জীবনমুখী মানুষ। তার সঙ্গে কাজ করাও আনন্দের, বন্ধুত্ব করাও।”
জাহিদ হাসান আরো বলেন, “আমি সবসময় চাই, আমাদের দেশের শিল্পীরা বড় হোক। তাই যখন বলি মান্না ভাই জেমস বন্ডের মতো, সেটা সত্যিই বলি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকে।"
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি নায়ক মান্না। তার শূন্যতা আজও অনুভব করেন সহকর্মী, ভক্ত এবং চলচ্চিত্রপ্রেমীরা।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।