Risingbd:
2025-09-18@04:08:04 GMT

মেসির জোড়া গোলে জিতলো মায়ামি

Published: 6th, July 2025 GMT

মেসির জোড়া গোলে জিতলো মায়ামি

প্রথমার্ধে ভুলে ভরা এক শুরু। তারপর ধীরে ধীরে নিজের চেনা রূপে ফিরে এলেন লিওনেল মেসি। আর মেসি ফিরতেই যেন ইন্টার মায়ামিও ফিরে পেল তার হারিয়ে যাওয়া ছন্দ। মন্ট্রিয়েলের মাঠে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া দলটি পরে রীতিমতো ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের জালে এক হালি বল পাঠাল। স্থানীয় সময় রোববার রাতে সাপুতো স্টেডিয়ামে তারা ম্যাচ জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে।

প্রথমে ভুল, পরে ভুলভাঙা; মেসির এই দ্বৈত অধ্যায়েই লেখা হলো ইন্টার মায়ামির দারুণ প্রত্যাবর্তনের কাহিনি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে এক অপ্রত্যাশিত ব্যাকপাস থেকে গোল খেয়ে বসে মায়ামি। সেই সুযোগ কাজে লাগান মন্ট্রিয়েলের ঘানার ফরোয়ার্ড প্রিন্স ওইউসু। গোটা ডাগআউট তখন হতাশায় ডুবলেও মেসির চোখে তখন শুধুই প্রতিশোধের ঝিলিক।

৩৩ মিনিটে মেসির নিখুঁত পাস থেকে গোল করে সমতা ফেরান তাদেও আলেন্দে। এর ঠিক সাত মিনিট পর ডি-বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের বাকানো শটে মেসি নিজেই দলকে এগিয়ে দেন। পেছনে ছিলেন পুরনো সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। যার পাস থেকে গোলের পথ রচনা হয়।

আরো পড়ুন:

চার বছরের অপেক্ষার অবসান: বার্সার কাছ থেকে বকেয়া পাচ্ছেন মেসি

মেসি যাদুতে মায়ামির দারুণ জয়

বিরতির পর যেন আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মায়ামি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে আলেন্দের পাস থেকে সেগোভিয়া গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন। এর এক মিনিট পর মঞ্চায়িত হয় পুরো ম্যাচের সবচেয়ে আলোড়ন তোলা মুহূর্তটি। একক নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের পাঁচ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। গোলটি ছিল কেবল একটি স্কোর নয়, বরং তা ছিল একটা বার্তা; মেসি এখনো থেমে যাননি, ফুরিয়ে যাননি, থামার মতোও কিছু ভাবছেন না।

ম্যাচজুড়ে মায়ামি বল দখলে এগিয়ে ছিল (৫৮%) এবং তাদের নেয়া ১৫ শটের ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মন্ট্রিয়েলও কম লড়েনি। তারা নেয় ১৩টি শট, যার মধ্যে ৮টি ছিল অন টার্গেট। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে সেই দলই, যাদের দলে খেলেন মেসি।

এই জয়ে মায়ামির সংগ্রহ দাঁড়াল ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সে তারা উঠে এসেছে ষষ্ঠ স্থানে। শীর্ষে আছে ২১ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট পাওয়া সিনসিনাটি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ