আকারে ছোট ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। আর তাই আকারে ছোট ভিডিও সহজে তৈরির পাশাপাশি আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল করে তুলতে শর্টসে নিয়মিত নতুন সুবিধা চালু করে থাকে ইউটিউব। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি শর্টসে যুক্ত করা হয়েছে ‘রোটেট শর্টস’ নামের সুবিধা। তবে চালুর পরপরই সুবিধাটির বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউটিউব ব্যবহারকারীরা। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, রোটেট শর্টস সুবিধা চালুর পর আকারে ছোট ভিডিও দেখার সময় স্মার্টফোনের পর্দার বড় অংশই খালি থাকে। ফলে বাধ্য হয়ে ছোট পর্দায় ভিডিও দেখতে হয়।

প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি জানিয়েছে, ইউটিউব অ্যাপের অ্যাকসেসিবিলিটি সেটিংস থেকে সহজেই রোটেট শর্টস সুবিধা চালু করা যায়। তবে ব্যবহারকারীদের অনেকেই রোটেট শর্টস সুবিধাকে হতাশাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তাঁদের মতে, ল্যান্ডস্কেপ মোডে শর্টস ভিডিও চালু করলে ফোনের পর্দার দুই পাশেই ফাঁকা থাকে। এর ফলে ভিডিওর মূল অংশ ছোট হয়ে যায়। পাশাপাশি ভিডিও নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন বাটন এক পাশে সরে যাওয়ার সেগুলো ব্যবহার করতে সমস্যা হয়।

ইউটিউবের তথ্যমতে, রোটেট শর্টস সুবিধাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হবে না। অর্থাৎ, এটি ‘অপ্ট-ইন’ সুবিধা হওয়ায় ব্যবহারকারীরা চাইলে ব্যবহার করতে পারবেন। আগ্রহীরা ইউটিউবের সেটিংস অপশনে প্রবেশ করে সুবিধাটি গিয়ে করতে পারবেন। একইভাবে চাইলে সেটিংস থেকে সুবিধাটি বন্ধ করে রাখা যাবে।

প্রসঙ্গত, রোটেট শর্টস সুবিধাটি সবার জন্য এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধাপে ধাপে সুবিধাটি চালু করছে ইউটিউব। এর ফলে এখনই সবার স্মার্টফোনে সুবিধাটি ব্যবহার করা যাবে না।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ