গৃহবধূর হারানো সম্পদ ফিরিয়ে দিলেন অটোচালক সবুজ
Published: 7th, July 2025 GMT
দরিদ্র পরিবারের হারিয়ে যাওয়া ভ্যানিটি ব্যাগে চিকিৎসার জন্য রাখা প্রায় ২ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ফিরিয়ে দিয়ে একজন অটোচালক হয়ে উঠেছেন সততার জীবন্ত প্রতীক।
জানা যায়, গত ৫ জুলাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে আছিয়া বেগম নামের এক নারী তার অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে আসেন। চিকিৎসা শেষে ক্লান্ত আছিয়া বেগম একটি অটোরিকশায় করে বাড়ির পথে রওনা হন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ব্যস্ততায় তিনি একটি ভ্যানিটি ব্যাগটি অটোরিকশায় ফেলে যান। ব্যাগটিতে ছিল স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
অটোরিকশাচালক সবুজ পরে ওই ব্যাগ দেখতে পান এবং মালিককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর ওই ব্যাগে থাকা মোবাইলে একটি ফোন আসলে সবুজ জানতে পারেন, এটি আছিয়া বেগমের মালিকানাধীন।
সবুজ জানান, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর তিনি নগরকান্দা উপজেলার কৃষ্ণারডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাগটি সঠিকভাবে হস্তান্তর করেন।
ব্যাগ ফেরত দেওয়ার সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন এবং অটোচালক সবুজের সততার প্রশংসা করে তাকে ধন্যবাদ জানান।
সবুজ ফরিদপুর শহরের মাওলানা আব্দুল আলী সড়কে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
আছিয়া বেগম তার হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণলঙ্কার ফিরে পেয়ে আনন্দ আত্মহারা হন আরেকদিকে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অটো চালক সবুজকে আশীর্বাদ করেন সততা নিয়ে বেঁচে থাকেন আজীবন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বোরকা পরে এসে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা: সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল নেতা সেলিমকে (৪২) গুলি করে হত্যার কিলিং মিশনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় পাঁচজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে তিনজন ছিলেন বোরকা পরিহিত ও দুই জনের মুখে রুমাল মোড়ানো। সবার হাতে ছিল অস্ত্র। পাুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ এটি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। দুইজনই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এদের একজনের নাম রায়হান ও অপরজন ধামা ইলিয়াস। বোরকা পরা তিনজনকে শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ঈষাণ ভট্টের হাট এলাকায় সেলিমকে গুলি করে হত্যার পর খুনিরা যে অটোরিকশা ব্যবহার করেছিল সেটা অর্ধ কিলোমিটার অদূরে হযরত আশরাফ শাহ (র:) এর মাজার গেট সংলগ্ন এলাকায় তাদের ছেড়ে দেয়। গেট সংলগ্ন এলাকায় এসে অপর একটি অটোরিকশায় উঠে কমলার টিলা নামক স্থান দিয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায় খুনিরা। রাউজানের কমলার টিলা হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালি উপজেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গহীন অরণ্য পাহাড় অবস্থিত। তিন উপজেলা সীমান্তবর্তীর এই নির্জন পাহাড়ে যাওয়ার কোনো সড়কপথ নেই। পায়ে হেঁটে প্রায় ৫/৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায় খুনিরা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দৃশ্যটি মূলত হযরত আশরাফ শাহ মাজারের স্থাপন করা ক্যামেরায় ধারণ করা।
গতকাল রোববার দুপুরে কদলপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা সেলিমকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেলিম কদলপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে এবং কদলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার গ্রুপের অনুসারী ছিলেন।