পাথর কোয়ারি খুলে দেয়াসহ ৬ দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস মালিক সমিতি এবং সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

কর্মবিরতির ফলে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেট জেলায় গণপরিবহন চলবে না বলে জানানো হয়।

গত রবিবার (৬ জুলাই) সিলেট প্রশাসনকে দাবি পূরণে স্মারকলিপি দিয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তবে রবিবার (৬ জুলাই) রাতে এক সভায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি লোকমান আহমদ ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করে বাস চলবে বলে ঘোষণা দেন। ফলে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি নিয়ে বিভক্তি দেখা দেয়। এরপর সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মলনে পরিবহন-মালিক সমিতির নেতারা জানান, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

মাসুদ রুমী সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ

শ্রমিকদের আগে পাঁচ দফা দাবি থাকলেও নতুন করে সিলেটের জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহারের দাবি যুক্ত করা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো হলো, সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ২৫ বছর, সিএনজি অটোরিকশা ও ইমা, লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে।

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক সকল গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহনের উপর আরোপিত বার্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। সিলেটের সকল ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতি পূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সকল ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে সিলেট থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ময়নুল হক বলেন, ‘‘আমরা দাবি আদায়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’’

তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সাল থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি বন্ধ। এতে পাথরসংশ্লিষ্ট সকলে দুর্ভোগে আছে। সরকার পাথর লুটপাট বন্ধ করতে না পারলেও বৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন করতে দিচ্ছে না।’’ 

সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে পুরো জেলায় শনিবার (৫ জুলাই) থেকে ৭২ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। যা আজ সোমবার (৭ জুলাই) মধ্য রাতে শেষ হবে। 
 

ঢাকা/নুর/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন পর বহন ম ল ক সড়ক পর বহন পর বহন ব

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গলবার থেকে সিলেটে শ্রমিকদের ধর্মঘটে গণপরিবহন বন্ধ

পাথর কোয়ারি খুলে দেয়াসহ ৬ দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস মালিক সমিতি এবং সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

কর্মবিরতির ফলে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেট জেলায় গণপরিবহন চলবে না বলে জানানো হয়।

গত রবিবার (৬ জুলাই) সিলেট প্রশাসনকে দাবি পূরণে স্মারকলিপি দিয়ে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরুর ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তবে রবিবার (৬ জুলাই) রাতে এক সভায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি লোকমান আহমদ ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করে বাস চলবে বলে ঘোষণা দেন। ফলে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি নিয়ে বিভক্তি দেখা দেয়। এরপর সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মলনে পরিবহন-মালিক সমিতির নেতারা জানান, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

মাসুদ রুমী সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ

শ্রমিকদের আগে পাঁচ দফা দাবি থাকলেও নতুন করে সিলেটের জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহারের দাবি যুক্ত করা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো হলো, সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস-মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ২৫ বছর, সিএনজি অটোরিকশা ও ইমা, লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে।

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দিতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক সকল গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহনের উপর আরোপিত বার্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। সিলেটের সকল ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুৎ মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতি পূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর ও বালুর ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। সড়কে বালু ও পাথরবাহী গাড়িসহ সকল ধরনের পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সিলেটের পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে অবিলম্বে সিলেট থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ময়নুল হক বলেন, ‘‘আমরা দাবি আদায়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’’

তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সাল থেকে সিলেটের সব পাথর কোয়ারি বন্ধ। এতে পাথরসংশ্লিষ্ট সকলে দুর্ভোগে আছে। সরকার পাথর লুটপাট বন্ধ করতে না পারলেও বৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহন করতে দিচ্ছে না।’’ 

সিলেটের ট্রাক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে পুরো জেলায় শনিবার (৫ জুলাই) থেকে ৭২ ঘণ্টার পণ্য পরিবহন ধর্মঘট চলছে। যা আজ সোমবার (৭ জুলাই) মধ্য রাতে শেষ হবে। 
 

ঢাকা/নুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ