সারা জীবনের সঞ্চয় খুইয়ে হতাশায় বাবার মৃত্যু, দুই সন্তানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
Published: 9th, July 2025 GMT
বলিউডের বি-গ্রেড অ্যাকশন সিনেমার নির্মাতা কামরান খান একসময় মূলধারার ছবিতে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত নেন। সঞ্জীব কুমারকে নিয়ে একটি বড় বাজেটের ছবি শুরু করেন এবং তাতে নিজের জীবনের সব সঞ্চয় ঢেলে দেন। কিন্তু মাঝপথে সঞ্জীব কুমার প্রজেক্ট ছেড়ে চলে গেলে সবকিছু ভেঙে পড়ে। দেনায় ডুবে যান কামরান। এই হতাশা থেকে শুরু হয় মদ্যপান। শেষ পর্যন্ত এ পরিস্থিতিই কেড়ে নেয় তাঁর জীবন। তবে আরও কয়েক দশক পরে তাঁর দুই সন্তানের রাজকীয় উত্থান হয় বলিউডে।
আরও পড়ুনশাহরুখ, সালমানের চেয়ে বেশি লম্বা বলেই কি হারিয়ে যান এই নায়িকা০৬ জুলাই ২০২৫১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে দারা সিংকে নিয়ে ‘বেকসুর’, ‘ওয়াতন সে দুর’, ‘ইলজাম’, ‘পঞ্চরতন’-এর মতো অ্যাকশনধর্মী বি-গ্রেড ছবি বানাতেন অভিনেতা ও স্টান্টম্যান কামরান খান। তবে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর আয় বাড়াতে তিনি মূলধারায় আসার সিদ্ধান্ত নেন। এটাই হয়ে দাঁড়ায় জীবনের সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত। বাড়ি বন্ধক রেখে, যা কিছু ছিল তা দিয়ে নতুন এক ছবি শুরু করেন আর প্রধান চরিত্রে নেন সঞ্জীব কুমারকে। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝপথে সঞ্জীব ছবি থেকে সরে যান। এর সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে কামরান খানের স্বপ্ন। লাখ লাখ টাকার দেনা, সংসার ভাঙনের পথে, মদে ডুবে যাওয়া, দীর্ঘ এক দশক কাজহীন জীবন—সব মিলিয়ে বিয়োগান্ত মৃত্যু হয় তাঁর।
কামরান খানের দুই সন্তান ফারাহ খান ও সাজিদ খান তখন কিশোর। বাবার মৃত্যুর পর নিজেদের জীবিকা নিজেরা চালাতে বাধ্য হন। বাড়িতে দাফনের খরচ জোগানোর মতো টাকাও ছিল না। তখন বন্ধুবর লেখক সেলিম খান কিছু টাকা দেন। তাঁরই সন্তান আজকের সালমান খান।
কঠিন শৈশব
সম্প্রতি অজন্তা ইলোরা চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে কামরান খানের মেয়ে নির্মাতা ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান স্মরণ করেন কঠিন শৈশবের কথা, ‘ছোটবেলায় যখন বাসায় ঝগড়া চলত, মা-বাবা আলাদা হচ্ছিলেন, তখন একমাত্র আনন্দ পেতাম সিনেমা হলে গিয়ে তিন ঘণ্টা সিনেমা দেখে। মনমোহন দেশাই বা নাসির হোসেনের “পটবয়লার” ছবিই ভালো লাগত।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।